শিলিগুড়ি/জলপাইগুড়ি, 17 জুন: আগরতলা-শিয়ালদাগামী 13174 কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ৷ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে 8 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ অন্যদিকে, পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে 11 জনের ৷ আহত প্রায় 40 জন ৷ তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৷ আহতদের সব রকমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তপক্ষের তরফে।
হাসপাতালের ডিন সঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, "পরিস্থিতি ভয়াবহ ৷ এখন পর্যন্ত 8 জনের মৃত্যু হয়েছে। 40 জন আহতের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে ৷ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ ব্লাড ব্যাঙ্কে ছাত্রছাত্রীরা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে ৷" দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল ও পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ, সাংসদ রাজু বিস্তা ৷ পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ৷
ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "মেডিক্যাল কলেজ ও ফাঁসিদেওয়াতে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে ৷ মালগাড়ির ড্রাইভার মারা গিয়েছেন। আহতদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷" কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধারকারী টিম এসে পৌঁছেছে ৷ মেডিক্যাল কলেজে 39 জন চিকিৎসাধীন ৷ ফাঁসিদেওয়া হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন ৷ যাঁরা অল্প আঘাত পেয়েছেন তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷
দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানান, সকাল থেকেই উদ্ধারকারী দল তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে ৷ মালগাড়ির চালক ও গার্ড মারা গিয়েছেন। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা রেলের তরফে আলাদা ভাবে তদন্ত করা হবে। বাকিটা জিআরপি তদন্ত করবে। উদ্ধার কাজ চলছে কাটিহার ডিভিশনের রাঙাপানির কাছে । বিএসএফ ও এসএসবি-র উত্তরবঙ্গের ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টার জওয়ানরা উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে। পাশাপাশি, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।
সাংসদ রাজু বিস্তা জানান, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কীভাবে দুর্ঘটনা হল তার তদন্ত করা হবে ৷ মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ রেলের মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "আমাদের ঈদের নামাজ ছিল। সকালে বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসি ৷ দুই জনের দেহ বের করতে সাহায্য করি ৷ আমরা যতটা পেরেছি উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছি ৷"