কলকাতা, 23 মে: উচ্চশিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে আটকে গেল শিক্ষকদের পদন্নোতি ৷ শিক্ষকদের সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার তাতেই বাধা দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। এই প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চললে তা আইনকে লঙ্ঘন করা হবে বলে, এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর । সেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জানতে চেয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর । এরপরই উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা।
সূত্রের খবর, উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি আসে । সেখানে জানতে চাওয়া হয়, 2018 সালের ইউজিসি-র রেগুলেশন মোতাবেক পদন্নোতি হলে 1976 সালের পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ধারা লঙ্ঘন করবে। তারপরই আজ উচ্চশিক্ষা দফতরে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সেখানে গিয়েই তারা জানতে পারেন, 2018 সাল নয় ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, 2010 সাল যা রাজ্যে মোতাবেক হয়েছিল 2012 সালে, সেই নিয়ম অনুযায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই স্কিম চালু করা হয়েছে। তবে বর্তমানে যেহেতু রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লাঘু রয়েছে, ভোটের পর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দিয়েছে দফতর।
আরও পড়ুন: 2022 টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্ন যাচাইয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
তবে এই প্রসঙ্গে, উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন জুটা । তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, "নির্বাচনী বিধিনিষেধ থাকার কারণে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রক্রিয়া চালু আছে। উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে । কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে । কাজেই কোনও যুক্তিতে একটি চালু প্রক্রিয়া বন্ধ করা হচ্ছে তা বোধগম্য হচ্ছে না । এই প্রমোশন প্রক্রিয়া চালু থাক। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন: আচমকা বাতিল অনুমোদন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমী নিয়ে বিতর্ক