সল্টলেক, 10 সেপ্টেম্বর: স্বাস্থ্য ভবনের 100 মিটার আগে থামিয়ে দেওয়া হল জুনিয়ার ডাক্তারদের মিছিল ৷ তবে, পুলিশি ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়লেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সঙ্গে আন্দোলনকারী সিনিয়র চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষজনও রাস্তায় বসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছেন ৷ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে প্রতীকী মস্তিষ্ক ৷ জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁদের পাঁচদফা দাবি পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলবে ৷
উল্লেখ্য, এ দিন হাতে ঝাঁটা নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নামে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ স্লোগান ওঠে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর স্বাস্থ্য ভবনকে সাফাই করতে হবে ৷ এমনকি স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের ঘুঘুর বাসা বলেও উল্লেখ করা হয় স্বাস্থ্য ভবনকে ৷ আর সে সবের প্রতিবাদে এবং আরজি কর-কাণ্ডের সুবিচার-সহ পাঁচদফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা এই স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নেমেছেন ৷
তবে, জুনিয়র ডাক্তারদের এই মিছিলকে আটকাতে তৎপর ছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ৷ স্বাস্থ্য ভবনের মূল গেট থেকে বেশ কিছুটা দূর পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে পুলিশ ৷ তিনটি ধাপে ব্যারিকেড দেওয়া হয় জুনিয়র ডাক্তারদের আজকের এই স্বাস্থ্য ভবন অভিযানকে রুখতে ৷ এমনকি স্বাস্থ্য ভবনের ভিতরে কেবল আধিকারিক এবং কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল, তাঁদের পরিচয়পত্র দেখে ৷ বাইরের লোকজনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ৷
এদিনের এই মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকার যে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে ৷ তাহলে, রাজ্য সরকার আমাদের দাবিগুলি মেনে নিক ৷ আমরাও কাজে যোগ দিতে চাই ৷ তবে, এর জন্য আমাদের পাঁচদফা দাবি মানতে হবে ৷ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তব নায়েককে পদত্যাগ করতে হবে ৷ সেই কারণেই, আমরা ঝাঁটা হাতে স্বাস্থ্য ভবনে যাচ্ছি ৷" উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের এই স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির সিনিয়র চিকিৎসকরাও যোগ দিয়েছেন ৷
এদিন প্রতীকী মস্তিষ্ক নিয়ে মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ৷ সঙ্গে বার্তা, "সুবিচারের জন্য মস্তিষ্কের ব্যবহার, বিরোধিতার জন্য নয় ৷" সিনিয়র ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষ আজকের এই স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে সামিল হয়েছেন ৷ তাঁদেরও দাবি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করা স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের পদত্যাগ করতে হবে ৷ সেই সঙ্গে আরজি কর-কাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে সরব হয় রাজপথে নামা সাধারণ মানুষ ৷ জাতীয় পতাকা ও প্রতিবাদী ব্যানার নিয়ে তাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ৷