ETV Bharat / state

অবস্থানের মাঝেও কর্তব্যে অবিচল জুনিয়র ডাক্তাররা, প্রাণ বাঁচালেন মহিলা কনস্টেবলের - Junior Doctors Save Constable Life - JUNIOR DOCTORS SAVE CONSTABLE LIFE

RG Kar Junior Doctors Protest: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের মাঝেও নিজেদের দায়িত্ব ভোলেননি জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ মহিলা কনস্টেবলের প্রাণ বাঁচিয়ে তারই প্রমাণ দিলেন বুধবার রাতে ৷ স্বাস্থ্যভবনে সামনে অবস্থান মঞ্চের কাছে ঘটে ঘটনাটি ৷

Junior Doctors Protest
জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রাণ বাঁচালেন মহিলা কনস্টেবলের (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 12, 2024, 2:12 PM IST

Updated : Sep 12, 2024, 3:51 PM IST

কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: অবস্থান-বিক্ষোভের মাঝেও কর্তব্যে অবিচল জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ তাঁদের তৎপরতা ও সাাময়িক চিকিৎসায় প্রাণ বাঁচল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনের সামনে ৷ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই ঘটনায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের । পুলিশ তাঁদেরকে বলেছে, "তোমরা না থাকলে বাঁচানো মুশকিল হয়ে যেত মহিলা পুলিশ কর্মীকে ।"

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

রাজ্য সরকারের চোখ রাঙানি সত্ত্বেও কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা । প্রায় 42 ঘণ্টার কাছাকাছি স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে রয়েছেন তাঁরা । পাঁচ দফা দাবি নিয়ে চলছে তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ । দাবি মানা না পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা । বহু সাধারণ মানুষও তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভের সামিল হয়েছেন । আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বাস্থ্যভবনের সামনে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশও । তবে এরই মাঝে বুধবার রাত 12টা 30 মিনিট নাগাদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলা পুলিশ কর্মী ।

জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর নাম নিবেদিতা হালদার ৷ তিনি বিধাননগর দক্ষিণ থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত । বুধবার স্বাস্থ্যভবনের ওখানে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন তিনি । মূলত ওই কনস্টেবলের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে । মাঝেমধ্যেই শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা হয় । কিন্তু বুধবার তাঁর কাছে ইনহেলার ছিল না । শ্বাসের সমস্যা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি । আর ঠিক তখনই স্লোগান ও আন্দোলন ছেড়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা ।

সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এগিয়ে যান ওই অসুস্থ হয়ে পড়া পুলিশ কর্মীর দিকে । যে মাইক এতক্ষণ চলছিল স্লোগান, সেই মাইকেই তখন ঘোষণা হয় ইনহেলার চেয়ে । ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ ইনহেলার দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন কি না, সেই বার্তাই মাইকের মাধ্যমে জুনিয়র ডাক্তারেরা তুলে ধরেন হাজার হাজার লোকের কাছে । এই ঘোষণার পরই মেলে ইনহেলার ৷ সেটি পাওয়ার পর তার ডোজ মেপে ওই পুলিশ কর্মীকে ইনহেলার দেওয়া হয় ।

সেই সময়ে পুলিশ কর্মীর জন্য জরুরি প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা ওখানেই সম্পূর্ণ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা । পরবর্তীকালে অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশ কর্মীকে নিয়ে পাঠানো হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে । বর্তমানে সেখানে ভর্তি রয়েছেন ওই কনস্টেবল । পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল ।

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন,"ওই পুলিশ কনস্টেবলের অ্যাজমা ছিল ৷ হঠাতই তাঁর অ্যাজমার অ্যাটাক হয় ৷ আমাদের যারা প্রতিনিধি ছিলেন তাঁরা তৎক্ষণাৎ গিয়ে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেন ৷ ওই পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে তাঁর প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারত ৷"

কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: অবস্থান-বিক্ষোভের মাঝেও কর্তব্যে অবিচল জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ তাঁদের তৎপরতা ও সাাময়িক চিকিৎসায় প্রাণ বাঁচল এক মহিলা পুলিশ কর্মীর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনের সামনে ৷ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই ঘটনায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের । পুলিশ তাঁদেরকে বলেছে, "তোমরা না থাকলে বাঁচানো মুশকিল হয়ে যেত মহিলা পুলিশ কর্মীকে ।"

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

রাজ্য সরকারের চোখ রাঙানি সত্ত্বেও কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা । প্রায় 42 ঘণ্টার কাছাকাছি স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে রয়েছেন তাঁরা । পাঁচ দফা দাবি নিয়ে চলছে তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ । দাবি মানা না পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা । বহু সাধারণ মানুষও তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভের সামিল হয়েছেন । আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বাস্থ্যভবনের সামনে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশও । তবে এরই মাঝে বুধবার রাত 12টা 30 মিনিট নাগাদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলা পুলিশ কর্মী ।

জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর নাম নিবেদিতা হালদার ৷ তিনি বিধাননগর দক্ষিণ থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত । বুধবার স্বাস্থ্যভবনের ওখানে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন তিনি । মূলত ওই কনস্টেবলের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে । মাঝেমধ্যেই শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা হয় । কিন্তু বুধবার তাঁর কাছে ইনহেলার ছিল না । শ্বাসের সমস্যা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি । আর ঠিক তখনই স্লোগান ও আন্দোলন ছেড়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা ।

সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এগিয়ে যান ওই অসুস্থ হয়ে পড়া পুলিশ কর্মীর দিকে । যে মাইক এতক্ষণ চলছিল স্লোগান, সেই মাইকেই তখন ঘোষণা হয় ইনহেলার চেয়ে । ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ ইনহেলার দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন কি না, সেই বার্তাই মাইকের মাধ্যমে জুনিয়র ডাক্তারেরা তুলে ধরেন হাজার হাজার লোকের কাছে । এই ঘোষণার পরই মেলে ইনহেলার ৷ সেটি পাওয়ার পর তার ডোজ মেপে ওই পুলিশ কর্মীকে ইনহেলার দেওয়া হয় ।

সেই সময়ে পুলিশ কর্মীর জন্য জরুরি প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা ওখানেই সম্পূর্ণ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা । পরবর্তীকালে অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশ কর্মীকে নিয়ে পাঠানো হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে । বর্তমানে সেখানে ভর্তি রয়েছেন ওই কনস্টেবল । পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল ।

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন,"ওই পুলিশ কনস্টেবলের অ্যাজমা ছিল ৷ হঠাতই তাঁর অ্যাজমার অ্যাটাক হয় ৷ আমাদের যারা প্রতিনিধি ছিলেন তাঁরা তৎক্ষণাৎ গিয়ে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেন ৷ ওই পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে তাঁর প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারত ৷"

Last Updated : Sep 12, 2024, 3:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.