ডায়মন্ডহারবার, 21 অক্টোবর: ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুর্নীতি এবং থ্রেট কালচারে মদত দেওয়ার অভিযোগ অধ্যক্ষ উৎপল দাঁ-র বিরুদ্ধে ৷ প্রতিবাদে মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন জুনিয়র ডাক্তার, নার্সিং পড়ুয়া এবং অস্থায়ী কর্মীরা ৷ মোট 12 দফা দাবিতে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা চাইছেন তাঁরা ৷
সম্প্রতি এই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৷ যে ঘটনায় অধ্যক্ষ উৎপল দাঁ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সেই সঙ্গে থ্রেট কালচারে সরাসরি অধ্যক্ষের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এমনকি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে দুর্নীতিতেও নাকি তিনি জড়িত ৷ এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷
আজ সকালে প্রশাসনিক ভবনের বাইরে জমায়েত করেন জুনিয়র ডাক্তার, নার্সিং পড়ুয়া এবং অস্থায়ী কর্মীরা ৷ প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা ৷ সঙ্গে প্রবেশদ্বারের পাশে 12 দফা দাবি সম্বলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ৷ আন্দোলনের জেরে এ দিন হাসপাতালের এমএসভিপি তন্ময় কুমার পাঁজা কাজে যোগ দিতে পারেননি ৷ তিনি প্রশাসনিক ভবনের বাইরে থেকে ফিরে যান ৷
জুনিয়র চিকিৎসক সৌম্যদীপ বণিক বলেন, "রাজ্যে আর কোথাও যাতে আরজি করের মতো ঘটনা না-ঘটে, সেই নিয়ে আমাদের এই অবস্থান-বিক্ষোভ ৷ ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে ৷ এমনকি থ্রেট কালচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তার এবং নার্সিং পড়ুয়াদের ৷ যতক্ষণ না-পর্যন্ত অধ্যক্ষ আমাদের 12 দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসছেন এবং আমরা সেই দাবিগুলি নিয়ে সদুত্তর পাচ্ছি, ততক্ষণ এই অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে ৷"
যদিও, এই অবস্থান-বিক্ষোভ ও আন্দোলনের পিছনে 9 জন সাসপেন্ডেড জুনিয়র ডাক্তার রয়েছেন বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ উৎপল দাঁ ৷ তিনি বলেন, "হাসপাতালে থ্রেট কালচার ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় 10-12 জন পড়ুয়াকে আমরা চিহ্নিত করেছিলাম ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় ৷ সেই তদন্তে 9 জন পড়ুয়া দোষী প্রমাণিত হন ৷ তাঁদের আজকের মধ্যে হস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছিল ৷ তাঁরাই এখন আন্দোলন করাচ্ছে ৷"
তিনি জানিয়েছেন, "আমরা ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছি ৷ এটা কোনও আন্দোলন নয় ৷ এটাও থ্রেট কালচার চলছে ৷ চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি ৷ দ্রুতই পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করবে, এমনটাই আশা আমাদের ৷"