কলকাতা, 16 এপ্রিল: বাম আমলের অবসান 15 বছর আগে হয়েছে ৷ তার পরেও তিন জেলার নিয়োগ জট কাটল না ৷ সমাধানের আশায় ফের হাইকোর্টে মামলা চাকরি প্রার্থীদের । 2009 সালে প্রাথমিক নিয়োগের মামলায় নতুন প্যানেলেও গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে । সেই সমস্যার সমাধানেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা ।
2009 সালে মোট মালদা, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা ও হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর পরবর্তীকালে সেই প্যানেল বাতিল হয়ে যায় ৷ ফের নতুন করে 2015 সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় । তারপরই একাধিক অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বেশ কিছু প্রার্থী। এরপরই আটকে যায় প্যানেল । হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল হলে শীর্ষ আদালত জানায় হাইকোর্ট মামলার নিস্পত্তি করবে । ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলার 400 প্রার্থীকে চাকরিতে নিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ বাকি 3 জেলার চাকরি প্রার্থীদের সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি ৷
2015 সালে পরীক্ষার পর প্যানেল তৈরি হলেও, নিয়োগ বছরের পর বছর মামলার গেরোয় আটকে ছিল । অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী 2021 সালে প্যানেল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন। যদিও সেই প্যানলে স্বজন পোষণের অভিযোগ ওঠে ৷ অভিযোগ, নির্দিষ্ট রেশিও না মেনেই প্যানেলে চাকরি প্রার্থীর নাম প্রকাশ হয় ৷ যারা বেশি নম্বর পেয়েছে তাদেরও প্যানেলে নাম প্রকাশিত হয়নি ৷ অথচ কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের জায়গা হয়েছে। এই অভিযোগ নিয়ে ফের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলা দায়ের হয় ।
চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী আলি আহসান আলমগীর বলেন, "মালদা জেলায় প্রায় 13টি শূন্যপদ ছিল । নিয়ম অনুযায়ী শূন্যপদের দেড়গুণ প্যানেল তৈরি হয় । কিন্ত মালদায় সেই নিয়ম মানা হয়নি। এই রকম আরও অন্যান্য জেলাতেও হয়েছে ।" এরপরই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য জানতে চান । আগামী 25 এপ্রিলের মধ্যে তাঁদের বক্তব্য জানাতে হবে বলে উল্লেখ করেন ।
আরও পড়ুন: