ETV Bharat / state

দেবাশিস ধরের পদত্যাগ গ্রহণ করেনি রাজ্য, মনোনয়ন বাতিলে সরকারকেই দুষলেন জয়ন্ত রায় - Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024: 2019 সালে চাকরি ছেড়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন জয়ন্তকুমার রায়। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার 15 মিনিট আগে শেষ মুহুর্তে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে বলে মত জয়ন্ত রায়ের ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 26, 2024, 3:58 PM IST

জলপাইগুড়ি, 26 এপ্রিল: 2019 সালে চাকরি ছেড়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন চিকিৎসক জয়ন্তকুমার রায়। প্রথমে জয়ন্ত রায়েরও পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। সেইবার মনোনয়ন প্রক্রিয়ার 15 মিনিট আগে শেষ মুহুর্তে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। চাকরি ছেড়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন জয়ন্তকুমার রায়। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক ছিলেন জয়ন্তকুমার রায়। ভোটে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিলেও রাজ্য সরকার তখন পাত্তাই দেয়নি বলে অভিযোগ। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কয়েক মিনিট আগে কার্যত দৌঁড়ে গিয়ে কমিশনকে পদত্যাগের কাগজ দিতে হয়েছিল জয়ন্তকুমার রায়কে।

ঠিক একইভাবে বীরভুম লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস ধর। তিনিও চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পদত্যাগপত্র এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার গ্রহণ করেনি বলেই খবর। সরকারি চাকরিরত অবস্থায় কেউ লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন না। তাঁকে সেই চাকরি ছেড়েই প্রার্থী হতে হবে। কিন্তু চাকরি থেকে অব্যাহতি চাইলেও রাজ্য সরকার এখনও তাঁকে রিলিজ করেনি বলেই খবর। ফলে নিয়ম অনুযায়ী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর ৷

জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্তকুমার রায় বলেন, "2019 সালে আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা করেছিলাম। কিন্তু মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেও রাজ্য সরকার আমার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেনি। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার শেষের 15 মিনিট আগে আমাকে আমার চাকরির পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আমাকে দৌঁড়ে এসে রাজ্য সরকারের এনওসি দিতে হয়েছিল।"

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "2019 সালে চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত রাজ্য সরকার আমার পেনশন থেকে শুরু করে আমার গ্র‍্যাচুইয়িটি, কিছুই দেয়নি ৷ আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমার সঙ্গে রাজ্য সরকার যা করেছিল আজ বীরভুমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধরের সঙ্গেও রাজ্য সরকার ঠিক একই কাজ করল। হাইকোর্টে গেলে নাস্তানাবুদ হবে রাজ্য সরকার। একজন ব্যক্তিকে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার দিতে হবে। এটা তাঁর অধিকার। এইভাবে চলতে পারে না।"

আরও পড়ুন

বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল, কেন ?

সরবেড়িয়ায় সিবিআই তল্লাশিতে উদ্ধার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, আটক শাহজাহান ঘনিষ্ঠ

জলপাইগুড়ি, 26 এপ্রিল: 2019 সালে চাকরি ছেড়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন চিকিৎসক জয়ন্তকুমার রায়। প্রথমে জয়ন্ত রায়েরও পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। সেইবার মনোনয়ন প্রক্রিয়ার 15 মিনিট আগে শেষ মুহুর্তে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। চাকরি ছেড়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন জয়ন্তকুমার রায়। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক ছিলেন জয়ন্তকুমার রায়। ভোটে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিলেও রাজ্য সরকার তখন পাত্তাই দেয়নি বলে অভিযোগ। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কয়েক মিনিট আগে কার্যত দৌঁড়ে গিয়ে কমিশনকে পদত্যাগের কাগজ দিতে হয়েছিল জয়ন্তকুমার রায়কে।

ঠিক একইভাবে বীরভুম লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস ধর। তিনিও চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পদত্যাগপত্র এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার গ্রহণ করেনি বলেই খবর। সরকারি চাকরিরত অবস্থায় কেউ লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন না। তাঁকে সেই চাকরি ছেড়েই প্রার্থী হতে হবে। কিন্তু চাকরি থেকে অব্যাহতি চাইলেও রাজ্য সরকার এখনও তাঁকে রিলিজ করেনি বলেই খবর। ফলে নিয়ম অনুযায়ী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর ৷

জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্তকুমার রায় বলেন, "2019 সালে আমি চাকরি ছেড়ে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা করেছিলাম। কিন্তু মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেও রাজ্য সরকার আমার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেনি। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার শেষের 15 মিনিট আগে আমাকে আমার চাকরির পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আমাকে দৌঁড়ে এসে রাজ্য সরকারের এনওসি দিতে হয়েছিল।"

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "2019 সালে চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত রাজ্য সরকার আমার পেনশন থেকে শুরু করে আমার গ্র‍্যাচুইয়িটি, কিছুই দেয়নি ৷ আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমার সঙ্গে রাজ্য সরকার যা করেছিল আজ বীরভুমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধরের সঙ্গেও রাজ্য সরকার ঠিক একই কাজ করল। হাইকোর্টে গেলে নাস্তানাবুদ হবে রাজ্য সরকার। একজন ব্যক্তিকে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার দিতে হবে। এটা তাঁর অধিকার। এইভাবে চলতে পারে না।"

আরও পড়ুন

বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল, কেন ?

সরবেড়িয়ায় সিবিআই তল্লাশিতে উদ্ধার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, আটক শাহজাহান ঘনিষ্ঠ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.