ETV Bharat / state

ডলোমাইট-বালির স্তূপ ভুটানের নদীতে, ভারতে গতিপথ বদলানোর আশংকা - Bengal Worries for Bhutan rivers

Jalpaiguri Worries for Bhutan rivers: ভুটানে নদীর উপর রাখা হয়েছে ডলোমাইট ও বালির স্তূপ ৷ আর তার ফলে সেই নদী ভারতে নেমে এলে তার গতিপথ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশংকা করছে সেচ দফতর ৷ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ভুটানের সঙ্গে কথা বলছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ৷

ETV BHARAT
ভুটানে নদীর উপর ডলোমাইট-বালির স্তূপ (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 11, 2024, 1:02 PM IST

জলপাইগুড়ি, 11 জুন: ভুটানের নদীর উপর উপচে পড়ছে ডলোমাইট ও বালির স্তূপ । এর জেরে ভুটান থেকে নেমে আসা ভারতীয় নদীর গতিপথ পালটে যেতে পারে । এমনটাই আশংকা সেচ দফতরের । এই আশংকার কথা জানিয়ে ভুটানকে সতর্ক করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ।

ভুটান থেকে নেমে আসা নদীর ভুটানের অংশে ডলোমাইট ও বালি স্তূপাকৃত করে রাখা হচ্ছে । যার ফলে ভরা বর্ষায় নদীর গতিপথ পালটে যেতে পারে । এমন আশংকা থাকায় চিন্তায় রাজ্যের সেচ দফতর । নদীর গতিপথ বদলে গেলে প্লাবিত হতে পারে ভারত-ভুটান সীমান্তে ভারতের চামুর্চি-সহ বেশ কিছু চা বাগান এলাকা । ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব সেচ বিভাগ । জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ।

অভিযোগ, ভুটান থেকে নেমে আসা রেতি ও সুকৃতি নদীতে ভুটানের অংশে যথেচ্ছ ভাবে নদী থেকে আর্থ মুভার দিয়ে বালি, পাথর তুলে নদীর উপরেই তা স্তূপ করে রাখা হচ্ছে । শুধু তাই নয়, পাহাড়ের ডলোমাইটও নদীর উপর ফেলে পাহাড় সমান করে রাখা হচ্ছে । মূলত এই বালি, পাথর, ডলোমাইট তুলে ভুটান ব্যবসা করে । ভারত, বাংলাদেশেও বালি, পাথর, ডলোমাইট রফতানি করে থাকে ভুটান । এদিকে, বর্ষার মরশুম এসে গিয়েছে ৷ এই মুহূর্তে নদীকে তার গতিপথে যেতে না-দিলে বিদপ আসন্ন । এমন অবস্থায় নদীর উপর স্তূপ করে রাখা বালি, পাথর, ডলোমাইট নদীর গতিপথ পালটে দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন সেচ দফতরের উত্তর-পূ্র্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক ।

রেতি ও সুকৃতি নদী দুটি ভুটান থেকে নেমে এসে ভারতের খানাবর্তীতে মিশে গিয়েছে । রেতি ও সুকৃতি নদী ভুটান থেকে নেমে এসে বানারহাট দিয়ে বয়ে আঙরাভাসায় মেশে । এই দুই নদী বওয়ার সময় তার খাতে বালি ও ডলোমাইটের স্তূপে বাধা পেলে পাহাড়ের জল নদীর দু-পাশ দিয়ে নেমে আসবে । এতেই বিপদ । এই নদীর আশেপাশে 9টি চা বাগান আছে । নদীর গতিপথ পালটে গেলে ভারত-ভুটান সীমান্তে বড় বিপর্যয়ের আশংকা থেকে যাচ্ছে । কাঁঠালগুড়ি চা বাগান, বানারহাট চা বাগান, নিউ ডুয়ার্স চা বাগান, চুনাভাটি চা বাগান, কারবালা চা বাগানে জল ঢুকে যেতে পারে । শুধু তাই নয়, ভুটান থেকে নেমে আসা রেতি ও সুকৃতির হড়পা বানে চামুর্চি এলাকা ও ভারত-ভুটান সার্ক রোড ভেসে যাবে, যদি নদীর গতিপথ পালটে যায় ।

সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর-পূর্ব) কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “ভুটানে রেতি ও সুকৃতি নদীখাতের উপরে বালি, পাথর, ডলোমাইট স্তূপ করে রাখা হয়েছে । আমাদের কাছে এমন ছবি এসেছে ৷ আমরা ছবি-সহ লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি । ভুটানের সঙ্গে সরাসরি আমাদের যোগাযোগের কোনও মাধ্যম নেই । ফলে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই যা করার করতে হবে ।"

এদিকে, ধূপগুড়ির মহকুমাশাসক পুস্পা ডোলমা লেপচা জানান, "আমাদের কাছে খবর আসার পরেই আমরা ভুটানকে বিষয়টি জানাই । ভুটানের নদীবক্ষে স্তূপ করে রাখা ডলোমাইট, বালি, পাথরের ফলে নদীর গতিপথ পালটে যেতে পারে । বিরাট সমস্যা হতে পারে । ভুটানকে জানানোর পরেই ভুটান আমাদের জানিয়েছে, দশ দিনের মধ্যে তারা বালি, পাথর, ডলোমাইট সরিয়ে নেবে ।"

জলপাইগুড়ি, 11 জুন: ভুটানের নদীর উপর উপচে পড়ছে ডলোমাইট ও বালির স্তূপ । এর জেরে ভুটান থেকে নেমে আসা ভারতীয় নদীর গতিপথ পালটে যেতে পারে । এমনটাই আশংকা সেচ দফতরের । এই আশংকার কথা জানিয়ে ভুটানকে সতর্ক করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ।

ভুটান থেকে নেমে আসা নদীর ভুটানের অংশে ডলোমাইট ও বালি স্তূপাকৃত করে রাখা হচ্ছে । যার ফলে ভরা বর্ষায় নদীর গতিপথ পালটে যেতে পারে । এমন আশংকা থাকায় চিন্তায় রাজ্যের সেচ দফতর । নদীর গতিপথ বদলে গেলে প্লাবিত হতে পারে ভারত-ভুটান সীমান্তে ভারতের চামুর্চি-সহ বেশ কিছু চা বাগান এলাকা । ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব সেচ বিভাগ । জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ।

অভিযোগ, ভুটান থেকে নেমে আসা রেতি ও সুকৃতি নদীতে ভুটানের অংশে যথেচ্ছ ভাবে নদী থেকে আর্থ মুভার দিয়ে বালি, পাথর তুলে নদীর উপরেই তা স্তূপ করে রাখা হচ্ছে । শুধু তাই নয়, পাহাড়ের ডলোমাইটও নদীর উপর ফেলে পাহাড় সমান করে রাখা হচ্ছে । মূলত এই বালি, পাথর, ডলোমাইট তুলে ভুটান ব্যবসা করে । ভারত, বাংলাদেশেও বালি, পাথর, ডলোমাইট রফতানি করে থাকে ভুটান । এদিকে, বর্ষার মরশুম এসে গিয়েছে ৷ এই মুহূর্তে নদীকে তার গতিপথে যেতে না-দিলে বিদপ আসন্ন । এমন অবস্থায় নদীর উপর স্তূপ করে রাখা বালি, পাথর, ডলোমাইট নদীর গতিপথ পালটে দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন সেচ দফতরের উত্তর-পূ্র্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক ।

রেতি ও সুকৃতি নদী দুটি ভুটান থেকে নেমে এসে ভারতের খানাবর্তীতে মিশে গিয়েছে । রেতি ও সুকৃতি নদী ভুটান থেকে নেমে এসে বানারহাট দিয়ে বয়ে আঙরাভাসায় মেশে । এই দুই নদী বওয়ার সময় তার খাতে বালি ও ডলোমাইটের স্তূপে বাধা পেলে পাহাড়ের জল নদীর দু-পাশ দিয়ে নেমে আসবে । এতেই বিপদ । এই নদীর আশেপাশে 9টি চা বাগান আছে । নদীর গতিপথ পালটে গেলে ভারত-ভুটান সীমান্তে বড় বিপর্যয়ের আশংকা থেকে যাচ্ছে । কাঁঠালগুড়ি চা বাগান, বানারহাট চা বাগান, নিউ ডুয়ার্স চা বাগান, চুনাভাটি চা বাগান, কারবালা চা বাগানে জল ঢুকে যেতে পারে । শুধু তাই নয়, ভুটান থেকে নেমে আসা রেতি ও সুকৃতির হড়পা বানে চামুর্চি এলাকা ও ভারত-ভুটান সার্ক রোড ভেসে যাবে, যদি নদীর গতিপথ পালটে যায় ।

সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর-পূর্ব) কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “ভুটানে রেতি ও সুকৃতি নদীখাতের উপরে বালি, পাথর, ডলোমাইট স্তূপ করে রাখা হয়েছে । আমাদের কাছে এমন ছবি এসেছে ৷ আমরা ছবি-সহ লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি । ভুটানের সঙ্গে সরাসরি আমাদের যোগাযোগের কোনও মাধ্যম নেই । ফলে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই যা করার করতে হবে ।"

এদিকে, ধূপগুড়ির মহকুমাশাসক পুস্পা ডোলমা লেপচা জানান, "আমাদের কাছে খবর আসার পরেই আমরা ভুটানকে বিষয়টি জানাই । ভুটানের নদীবক্ষে স্তূপ করে রাখা ডলোমাইট, বালি, পাথরের ফলে নদীর গতিপথ পালটে যেতে পারে । বিরাট সমস্যা হতে পারে । ভুটানকে জানানোর পরেই ভুটান আমাদের জানিয়েছে, দশ দিনের মধ্যে তারা বালি, পাথর, ডলোমাইট সরিয়ে নেবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.