সিতাই, 13 নভেম্বর: সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে বিএসএফের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ ৷ এই অভিযোগ করেন কোচবিহারের সাংসদ তৃণমূলের জগদীশ বর্মা বসুনিয়া ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর কী করণীয়, বুথে গিয়ে তা বোঝাতে দেখা গেল তাঁকে ।
পাশাপাশি সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে বুথে গিয়ে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে সিতাই বিধানসভা বসেরটারি জুনিয়র হাইস্কুলে ।
সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বলেন, "বিএসএফ ভোটারদের বিরক্ত করছে ৷ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে ৷ ভোটারদের কাছ থেকে কাগজ দেখতে চাইছে ৷ সেটা বিএসএফের কাজ নয় ৷ বাইরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কেবল তা দেখবে বিএসএফ ৷ ভিতরের ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার ৷ কিন্তু তা না করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাজে নাক গলাচ্ছে বিএসএফ ৷"
অন্যদিকে, বিজেপির পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের সাংসদ হয়ে জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বুথের ভিতরে ঢুকছেন ৷ যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংসদ ৷ তিনি বলেন, "আমি বুথের ভিতরে ঢুকছি না ৷ আমি সাংসদ হিসাবে জানি কতটা আমার এক্তিয়ার ৷ বিএসএফ ভোটারদের বিরক্ত করছে, এই অভিযোগ পেয়ে আমি এসেছি ৷ নইলে আমি বুথে যাচ্ছি না ৷"
জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার স্ত্রী সঙ্গীতা রায় সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ৷ সকাল সকাল সস্ত্রীক ভোট দেন সাংসদ ৷ এরপরেই বুথে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাবধান করতে দেখা যায় বসুনিয়াকে ৷
উল্লেখ্য, তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল সিতাইয়ের কংগ্রেস প্রার্থীর তরফে ৷ সঙ্গীতা রায়ের মনোনয়ন পত্র বাতিল করার আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ তবে তৃণমূল প্রার্থীর প্রার্থিপদ বাতিলের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত ৷