কলকাতা, 24 মে: অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় দোষীরা শাস্তি পেল ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াডে শাস্তির সুপারিশ করেছিল। সেই শাস্তি শুক্রবার মেনে নিল কর্ম সমিতি। এর ফলে 4 জন বর্তমান ছাত্রর বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হল। পাশাপাশি আরও 5 ছাত্র 4টি করে সেমিস্টার বসতে পারবে না। অর্থাৎ তাদের দু'বছর নষ্ট হবে। পাশাপাশি আজীবনের জন্য অভিযুক্তদের বহিষ্কারও করা হল হস্টেল থেকে। অন্যদিকে, বাকি 25 অভিযুক্তকেও আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হল হস্টেল থেকে। একটি করে সেমিস্টারও বসা হবে না তাদের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, " অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াডের সমস্ত সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি। আগামিদিনে আমরা নজর রাখব যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। তার সঙ্গে ইউজিসির গাইডলাইনও পালন করা হবে। ব়্যাগিং রুখতে প্রচারও চলবে ।"
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার শ্লীলতাহানি! সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ
গত বছর 10 অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। উঠে এসেছিল ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একের পর এক পড়ুয়ার নাম জড়িয়েছে। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল সৌরভ নামে যাদবপুরে এক প্রাক্তন ছাত্র। তার বর্তমান ঠিকানা জেলে।
এই ঘটনায় আরও দুজনের নাম শোনা গিয়েছিল। সরাসরি ব়্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও তাঁদের নাম ছিল চর্চায়।একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেটসুর প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরিত্র মজুমদার। অন্যজন বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, ওরফে 'রুদ্র দা'। এদিনের বৈঠকের পর অরিত্রর ফেলোশিপ বাতিল করা হয়েছে। এমনকী, কোনও দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সে আর প্রবেশও করতে পারবে না। অন্যদিকে রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'রাজনীতি দিয়েই সবসময় খারাপ কাজ আটকেছে যাদবপুর', মত নয়া উপাচার্যের