কলকাতা, 14 নভেম্বর: আবারও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে সমস্যা । জলের ফিল্টার খারাপ হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন হস্টেলের বেশ কয়েকজন আবাসিক । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলারদের যে হস্টেল রয়েছে, সমস্যা সেখানেই । হস্টেলের আবাসিকদের অভিযোগ, সেখানে যে জলের ফিল্টার রাখা হয়েছে, সেটি দু'মাস ধরে খারাপ । কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি । সেই জল খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া । তবে ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলারদের হস্টেলের এই সমস্যার বিষয়ে হস্টেলের মেডিক্যাল অফিসার মিতালী দেব জানান, "গুজরাত থেকে একটি ছেলে এসেছিল । জার জন্ডিস ধরা পড়ে । অন্যদিকে, হস্টেলের পাঁচজন পড়ুয়ার পেট খারাপ হয় । ওরা অনুমান করেছিল জল থেকে হয়েছে । জন্ডিসের ভয় পাচ্ছিল । তবে পরীক্ষা করার পর দেখা গিয়েছে, জন্ডিসের ব্যাকটেরিয়া জলে নেই । কিন্তু কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে । তবে রিপোর্ট আসার আগেই আমারা ট্যাংক পরিষ্কার করেছি ।"
যদিও এই নিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠক হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখানে এই বিষয়টি তুলে ধরা হয় । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি ফিল্টার পরিষ্কার করার কথা । কিন্তু তা হয়নি । অথচ আমরা খাতায়-কলমে দেখতে পাচ্ছি, এক বছর ধরে ফিল্টার পরিষ্কার করা হচ্ছে । যে বৈঠক গত পরশুদিন হয়েছে, সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা ছিলেন । আমরা দাবি জানাচ্ছি, এই পুরো বিষয়টির একটি তদন্ত হওয়া দরকার । হস্টেল আবাসিকদের জীবনের বিষয় । ফলে কেন ফিল্টার পরিষ্কার করা হচ্ছে না তা যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হোক ।"
তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে প্রায় কুড়িটি জলের ড্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে । আপাতত সেই জলই খাচ্ছেন হস্টেল আবাসিকরা । অন্যদিকে, যে সমস্ত ফিল্টার রয়েছে সেখানে লিখে দেওয়া হয়েছে ওই জল যেন কেউ পান না-করেন । তার পাশাপাশি ওই জলের আরও বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।