কানাইপুর, 18 ফেব্রুয়ারি: হুগলিতে আট বছরের শিশুকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ শিশুটির পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে স্কুলে উচু ক্লাসের এক পড়ুয়ার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল মৃত স্নেহাংশু শর্মার ৷ সেই ঘটনার রেশ থেকেই চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে খুন ? উঠছে সেই প্রশ্ন ৷ কিন্তু খুনের সঙ্গে এই ঘটনা যুক্ত আছে কি না সেটাও স্পষ্ট নয় ।
মৃত স্নেহাংশুর বাবা পঙ্কজ শর্মা বলেন, "কারুর সঙ্গে শত্রুতা ছিল না আমাদের । তবে কিছুদিন আগে স্কুলে উচু ক্লাসের এক পড়ুয়ার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল স্নেহাংশুর । একই গাড়িতে যাতায়াত করত ওরা ৷ ওই ছেলেটা আমাদের পাড়াতেই থাকে ৷ ছেলে ওই পড়ুয়ার বাড়ির দিকে যেতে ওর সাইকেলে ঢিল ছুঁড়ছিল ৷ আমার স্ত্রী ওই পড়ুয়ার বাড়িতে অভিযোগ করতেও গিয়েছিল । তারপরে সব মিটমাট হয়ে যায় ৷ শুক্রবার এই ঘটনার পরও ওই পড়ুয়ার বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু কিছু বুঝতে পারছি না ওই ঘটনার সঙ্গে এর যোগ রয়েছে কি না । আমরা চাই ভালোভাবে পুলিশ তদন্ত করুক । দোষীদের শাস্তি হোক ৷"
শিশুর মর্মান্তিক খুনের ঘটনায় 40 ঘণ্টা পেরলেও এখন কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ ৷ শনিবারের পর রবিবার ফের আরও একটি ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে ৷ স্নেহাংশুকে খুনে ঘরের চৌকাঠের ইট,গণেশের বড় মূর্তি এবং ছোট কাঠের পড়ার টেবিল ও ছুরি-সহ বাড়ির একাধিক জিনিস ব্যবহার করেছে অপরাধীরা ৷ সেইগুলো ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি শিশুর বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত আঙুলের কিছু ছাপ পাওয়া গিয়েছে । সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ৷
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি ঘটনাস্থলে আসেন । তিনি বলেন, "একটা আট বছরের শিশুর উপর হামলা হয়েছে । যে ধরনের আক্রমণ হয়েছে, তা এখানে দেখা যায় না । পরে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে । কী কারণে খুন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে । ফরেনসিক তদন্ত হবে । যে ঘরে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়েছে ।" মৃত শিশুটির জেঠুর মেয়ে জানিয়েছে, সে পাশেই পড়তে গিয়েছিল । বাড়ির দরজা খোলাই ছিল । দরজা ঠেলতেই রক্তাক্ত দেহে পড়ে থাকতে দেখে সে । তারপর চেঁচামেচি করে প্রতিবেশীদের ডাকে দিদি ।
আট বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে । শুক্রবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কানাইপুর আদর্শনগর ইংলিশ রোড এলাকায় । কী কারণে এই খুন, তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: