ETV Bharat / state

বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য, কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা - India Bangladesh Trade

India-Bangladesh Trade: উত্তাল বাংলাদেশ ৷ দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা ৷ এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হলে গেল ভারত-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য ৷ সবক’টি স্থলবন্দরেই বন্ধ বাণিজ্য ৷ কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ৷

India-Bangladesh
বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 5, 2024, 8:16 PM IST

কলকাতা ও জলপাইগুড়ি, 5 অগস্ট: ফের বন্ধ হয়ে গেল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পড়েই ব্যবসার আকাশে কালো মেঘ দেখতে পাচ্ছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা ।

বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য, কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা (ইটিভি ভারত)

পশ্চিমবঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যে চ্যাংরাবান্ধা, পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য হয় । সোমবার কোথাও কোনও বাণিজ্য হয়নি ৷ কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে দিয়ে শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়, ভুটান-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে । ইতিমধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করেছে বিএসএফ ।

ফের বাংলাদেশে কারফিউ লাগু হয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য কোনোভাবেই সম্ভব নয় । অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে সেদেশে টানা তিনদিনের জন্য বাণিজ্য স্থগিত করার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার । রবিবারই এই ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ ফলে সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাণিজ্য ৷ তা তিনদিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় চালু হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷

ফলে নতুন করে কবে থেকে আবার দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চালু হবে, তা নিয়ে তা নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা ৷ চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ কানু বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য বন্ধের বার্তা এপারে এসেছে । গতকাল এক ঘণ্টা আমাদের ব্যবসা হয়েছে ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না । গতকাল থেকেই কারফিউ চালু হয়েছে । ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ ৷ ফলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বাংলাদেশের ব্যব্যসায়ীদের সঙ্গে । আমাদের যে সকল ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছিল, তা খালি হয়ে চলে এসেছে । বাংলাদেশের ট্রাকও খালি হয়ে চলে গিয়েছে । কোনও ট্রাক চালক আটকে থাকার খবর নেই ।’’

তিনি আরও জানান, শুধু চ্যাংড়াবান্ধা দিয়েই রোজ বাংলাদেশের দিকে ভারত থেকে সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো ট্রাক যায় ৷ আর বাংলাদেশের দিক থেকে 80-90টি ট্রাক আসে ৷ রোজ প্রায় 5 কোটি টাকার লেনদেন হয় ৷ এর থেকে রোজ প্রায় 5 লক্ষ টাকার জিএসটি পায় রাজ্য সরকার ৷

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ এক্সপোর্টার্স কো-অরডিনেশন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা জানান, বাংলাদেশের কাস্টমসের ছাড়পত্র না থাকায় সব স্থলবন্দরে রফতানি ও আমদানি বন্ধ হয়ে যায় । সোমবার সকালের দিকে কয়েকটি জায়গায় আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য শুরু হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায় ৷

উল্লেখ্য, পেট্রাপোল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের দিক থেকে সবচেয়ে স্থলবন্দর ৷ ফলে চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে যদি রোজ প্রায় 5 কোটি টাকার ব্যবসা হয়, তাহলে পেট্রাপোলে সেই পরিমাণ আরও অনেক বেশি ৷ তাই ক্ষতিও অনেক বেশি হবে৷ এর জেরে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা ৷

এদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা রংপুরের বাসিন্দা শিমু রায় ও লালমনিরহাটের বাসিন্দা মহম্মদ তারফ আলি বলেন, ‘‘আমরা শিলিগুড়িতে ডাক্তার দেখাতে এসেছি । দশদিনের জন্য আমরা শিলিগুড়িতে এসেছি । বাংলাদেশে নতুন করে কারফিউ লাগার জন্য অটোতে করে চ্যারাবান্ধা বর্ডার পর্যন্ত এসেছি ।’’

(সংবাদসংস্থার ইনপুট-সহ)

কলকাতা ও জলপাইগুড়ি, 5 অগস্ট: ফের বন্ধ হয়ে গেল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পড়েই ব্যবসার আকাশে কালো মেঘ দেখতে পাচ্ছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা ।

বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য, কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা (ইটিভি ভারত)

পশ্চিমবঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যে চ্যাংরাবান্ধা, পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য হয় । সোমবার কোথাও কোনও বাণিজ্য হয়নি ৷ কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে দিয়ে শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়, ভুটান-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে । ইতিমধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করেছে বিএসএফ ।

ফের বাংলাদেশে কারফিউ লাগু হয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য কোনোভাবেই সম্ভব নয় । অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে সেদেশে টানা তিনদিনের জন্য বাণিজ্য স্থগিত করার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার । রবিবারই এই ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ ফলে সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাণিজ্য ৷ তা তিনদিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় চালু হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷

ফলে নতুন করে কবে থেকে আবার দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চালু হবে, তা নিয়ে তা নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা ৷ চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ কানু বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য বন্ধের বার্তা এপারে এসেছে । গতকাল এক ঘণ্টা আমাদের ব্যবসা হয়েছে ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না । গতকাল থেকেই কারফিউ চালু হয়েছে । ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ ৷ ফলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বাংলাদেশের ব্যব্যসায়ীদের সঙ্গে । আমাদের যে সকল ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছিল, তা খালি হয়ে চলে এসেছে । বাংলাদেশের ট্রাকও খালি হয়ে চলে গিয়েছে । কোনও ট্রাক চালক আটকে থাকার খবর নেই ।’’

তিনি আরও জানান, শুধু চ্যাংড়াবান্ধা দিয়েই রোজ বাংলাদেশের দিকে ভারত থেকে সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো ট্রাক যায় ৷ আর বাংলাদেশের দিক থেকে 80-90টি ট্রাক আসে ৷ রোজ প্রায় 5 কোটি টাকার লেনদেন হয় ৷ এর থেকে রোজ প্রায় 5 লক্ষ টাকার জিএসটি পায় রাজ্য সরকার ৷

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ এক্সপোর্টার্স কো-অরডিনেশন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা জানান, বাংলাদেশের কাস্টমসের ছাড়পত্র না থাকায় সব স্থলবন্দরে রফতানি ও আমদানি বন্ধ হয়ে যায় । সোমবার সকালের দিকে কয়েকটি জায়গায় আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য শুরু হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায় ৷

উল্লেখ্য, পেট্রাপোল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের দিক থেকে সবচেয়ে স্থলবন্দর ৷ ফলে চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে যদি রোজ প্রায় 5 কোটি টাকার ব্যবসা হয়, তাহলে পেট্রাপোলে সেই পরিমাণ আরও অনেক বেশি ৷ তাই ক্ষতিও অনেক বেশি হবে৷ এর জেরে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা ৷

এদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা রংপুরের বাসিন্দা শিমু রায় ও লালমনিরহাটের বাসিন্দা মহম্মদ তারফ আলি বলেন, ‘‘আমরা শিলিগুড়িতে ডাক্তার দেখাতে এসেছি । দশদিনের জন্য আমরা শিলিগুড়িতে এসেছি । বাংলাদেশে নতুন করে কারফিউ লাগার জন্য অটোতে করে চ্যারাবান্ধা বর্ডার পর্যন্ত এসেছি ।’’

(সংবাদসংস্থার ইনপুট-সহ)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.