ঘাটাল, 3 মে: মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে 10 জনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন নির্দল প্রার্থী ৷ কিন্তু জেলাশাসকের দফতরে প্রবেশের পর বেঁকে বসেন বাজনাদাররা। অভিযোগ প্রস্তাবক হিসেবে সই করার জন্য 10 হাজার টাকা নেওয়ার পরে বেঁকে বসেছেন সেই প্রস্তাবকেরা। সেই টাকা ফেরত চেয়ে প্রস্তাবকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নির্দল প্রার্থী। এমনই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে ৷ যদিও ওই প্রস্তাবকদের দাবি তারা বাজনা বাজানোর জন্য এসেছিল।
মনোনয়ন দিতে আসা গোপাল মণ্ডল বলেন, "নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলাম। প্রস্তাবক হিসেবে দশ জনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। এর জন্য দশ হাজার টাকা নিয়েছিল ওই জিতেন দাসের বাজনাদার দল। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর এখানে এসে বলছেন তাঁরা সই করবেন না। কিন্তু সঙ্গে ভোটার কার্ড নিয়ে এসেছে। আমার থেকে যে 10 হাজার টাকা নিয়েছে, সেটাও ফেরত দিচ্ছে না।"
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "আমি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করি। আমি এই এলাকার বাসিন্দা ৷ তাই ঘাটাল লোকসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।" দু'জন তারকা প্রার্থী যে কেন্দ্রে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন সেখানে কেন নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন? প্রশ্নের জবাবে গোপাল মণ্ডল বলেন, "সব চোর ৷ এলাকায় থাকে না কেউ।"
অন্যদিকে বাজনাদার জিতেন দাস বলেন, "আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল বাজনা বাজানোর। সেই মতো বাজনা নিয়ে এসেছি। এরই সঙ্গে ভোটার কার্ড আনতে বলেছিল ৷ না হলে নাকি জেলাশাসকের দফতরে ঢুকতে দেবে না। সেই জন্য এনেছি। এখানে এসে বলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সই করতে হবে। আমাদের কাজ বাজনা বাজানোর। তাই টাকা ফেরত দেবো না। বাজনা বাজাতে বললে বাজিয়ে দেবো।"
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন ঘাটালের রঘুনাথচকের বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল। তিনি তাঁর জমানো 25 হাজার টাকা দিয়ে নিয়ম মেনে গত 29 এপ্রিল ডিসিআর কেটেছিলেন। এইদিন তিনি 10 জন বাজনাদারকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে ছুটে আসেন মেদিনীপুরে। এরা হলেন ঘাটালের জিতেন দাসের বাজনাদারের দল।
নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী, এদিন তিনি কালেক্টরেটে প্রবেশ করেন কিন্তু প্রবেশ করার পরেই সমস্যা শুরু হয় বাজনাদারদের সঙ্গে। কারণ, নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে গেলে প্রস্তাবক লাগে। সে ক্ষেত্রে তিনি বাজনাদারদের ভোটার কার্ড নিয়ে প্রস্তাবক হিসেবে সই করাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর তখনই বেঁকে বসেন বাজনাদাররা। তাদের বক্তব্য, শুধু বাজনা বাজানোর জন্যই 10 হাজার টাকায় রাজি হন। কিন্তু প্রার্থী তাঁদেরকে ভেতরে ঢুকিয়ে সই করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তাঁরা সই না করাতেই বচসা শুরু হয় ৷ মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে এলাকা ছাড়েন নির্দল প্রার্থী।
আরও পড়ুন
1. মাঝ-আকাশে কপ্টারে ধোঁয়ায় জরুরি অবতরণ; সুস্থ আছি, জানালেন দেব
2. কেশপুরের হিংসায় নিহত সুশীল ধাড়ার পরিবারকে প্রণাম করে মনোনয়ন পেশ হিরণের
3. ক্যানসারে বাদ পড়েছে ডানহাত, বাঁ-হাতে লিখেই মাধ্যমিক পাশ শান্তিপুরের শুভজিতের