মুর্শিদাবাদ, 11 মে: অকুস্থল সেই মুর্শিদাবাদ ৷ বহরমপুরের সুতপা হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ফিরে এল ৷ প্রকাশ্যে প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করল প্রেমিক। শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ছুরির কোপে মেয়েটির প্রাণ গিয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। মৃতার নাম, সাবিয়া খাতুন (19)। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি দৌলতাবাদ থানার মির্জাপুর এলাকায়। ঘটনায় পুলিশ প্রেমিক মানোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি স্থানীয় হাজিপাড়া গ্রামে।
জানা গিয়েছে, গত চার বছর ধরে সাবিয়ার সঙ্গে মানোয়ারের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, ইদানিং মনোয়ারকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না সাবিয়া। প্রেমিকার অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক আছে এই সন্দেহে এদিন তাঁকে ডেকে পাঠায় ওই যুবক। সকালে দৌলতাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে একটি ফাঁকা জায়গায় দেখা করে আচমকাই প্রেমিকার পেটে ছুরি চালিয়ে দেয় মানোয়ার। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবতীকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা আরও একবার বহরমপুর শহরে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর প্রকাশ্য খুনের ঘটনাকে মনে করিয়ে দিল। বহরমপুর গোরাবাজারের এক হস্টেলে থাকত মালদার বাসিন্দা বহরমপুর গার্লস কলেজের ছাত্রী সুতপা। হস্টেলের বাইরে ডেকে তাঁকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু সুশান্তের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে কেউ বাধা দিতে এগিয়ে আসেননি। পরে জানা যায় সুশান্তের হাতে সেদিন খেলনা পিস্তল ছিল। এখনও জেল হেফাজতে রয়েছে সুশান্ত। চলছে সেই মামলার শুনানি। এদিনের ঘটনাও কার্যত একইরমকের ৷ এদিনও বহু মানুষ স্কুল মাঠের ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওই যুবতীকে খুন হতে দেখেও কেউ এগিয়ে যাননি বলে অভিযোগ। তবে এদিন আততাতীয় হাতে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন
সুতপা চৌধুরী খুনে সুশান্তর ফাঁসির সাজা আদালতের
বিচার পেয়েছে মেয়ে, খুনির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সুতপার বাবা