কলকাতা, 15 অগস্ট: রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল রেড রোডের কুচকাওয়াজে এবার অখণ্ডতার বার্তা দেবে রাজ্য সরকার । সেইমতো বৃহস্পতিবার রেড রোডে হাজির উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকেরা । রেড রোডের কুচকাওয়াজ নতুন কিছু নয় । তবে সেখানে চা-বাগানের শ্রমিকদের উপস্থিতি এবারই প্রথম । তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবারের উপস্থাপনে ছিল না কোনও ট্যাবলো । তবে কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সবুজ সাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার সবকিছুই ছিল রেড রোডে ।
আজ সকাল দশটার কিছু পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছন রেড রোডে । তাঁর হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হওয়ার পরই রেড রোডে ফুটে ওঠে বর্ণময় ভারতের প্রতিচ্ছবি । এদিন শুধু সরকারি বিভিন্ন দফতর নয়, স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও সরকারি হাসপাতালের নার্সরাও কুচকাওয়াজে পা মেলান ।
তবে এদিন সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল রেড রোডে চা-বাগানের শ্রমিকদের উপস্থিতি । শুধু চা-শ্রমিক নয়, উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত লোকশিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এদিন শোভাযাত্রায় উপস্থিত হন । এছাড়াও এদিন যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের বিশেষ উপস্থাপনাও ছিল রেড রোডে । সেখানে রেড রোডের কুচকাওয়াজে খেলোয়াড়দের তরফ থেকে খেলার সামগ্রী প্রদর্শন করা হয় । 'খেলা হবে' গানে পা মেলায় কচিকাঁচা থেকে খেলোয়াড়রা । সেই গানের সঙ্গেই চলে 'জয় বাংলা' স্লোগান ।
একদিকে যখন আরজি কর ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, সেই সময় রেড রোডে মহিলাদের একটা বড় অংশের উপস্থিতি খুব তাৎপর্যপূর্ণ ছিল । এদিন রেড রোডের মঞ্চ থেকে পুলিশকর্মীদের তাঁদের অবদানের জন্য পদক প্রদান করা হয় ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের হাতে পদক তুলে দেন । প্রশংসনীয় কর্মদক্ষতার জন্য এবার রাজ্য পুলিশের চার শীর্ষ আধিকারিককে মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ পদকে সম্মানিত করা হয় ।
প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ পদক প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় । এবছর এই পুরস্কার পাচ্ছেন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ, ডিআইজি সিকিউরিটি আভারু রবীন্দ্রনাথ, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ওএসডি দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবজ্যোতি দাস । এদিন রেড রোডের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ।