ETV Bharat / state

বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে কোনও ছিদ্র নেই, যুগান্তকারী গবেষণা খড়গপুর আইআইটি'র - IIT Kharagpur Research

No Severe Ozone Depletion Found in Tropical Stratosphere: বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে কোনও ছিদ্র নেই, এমনই দাবি করা হল খড়গপুর আইআইটি-র অধ্যাপকদের গবেষণায় ৷ সম্প্রতি অধ্যাপক জয়নারায়ণন কুট্টিপুরথের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দল এই আবিষ্কার করেছেন ৷ সেখানে ওজোন স্তরের অবক্ষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেছেন গবেষকরা ৷

No Severe Ozone Depletion Found in Tropical Stratosphere
ওজোন স্তরের ক্ষয় নিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার খড়গপুর আইআইটি-র গবেষকদের ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 4, 2024, 1:48 PM IST

খড়গপুর, 4 সেপ্টেম্বর: এতদিন ধরে বৈজ্ঞানিকরা তথ্য দিয়ে আসছিলেন বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ক্ষয়ের ফলে ছিদ্র তৈরি হয়েছে ৷ এতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ক্ষতি হচ্ছে পৃথিবীর জীবকূলের ৷ কিন্তু, সেইসব সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে যুগান্তকারী তথ্য দিলেন খড়গপুর আইআইটির গবেষকরা ৷ সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটি-র সমুদ্র, নদী, বায়ুমণ্ডল সম্বন্ধীয় 'কোরাল' (CORAL) বিভাগের অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দল এই আবিষ্কার করেছেন ৷

ওই গবেষক দলের গবেষণাপত্র, 'সাম্প্রতিক দশকগুলিতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে কোনও গুরুতর ওজোন হ্রাস নেই' (No Severe Ozone Depletion in the Tropical Stratosphere in Recent Decades) শিরোনামে এই যুগান্তকারী তথ্য তুলে ধরেছেন ৷ মূলত, এতদিন ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীর জীবকূলকে রক্ষাকারী ওজোন স্তরে একটি বড় ছিদ্র তৈরি হয়েছে ৷ এর ফলে অতিবেগুনি রশ্মি বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৃথিবীতে সরাসরি প্রবেশ করছে ৷ আর তার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷

কিন্তু, অতীতের সেই সব সম্ভাবনা ও দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন খড়গপুর আইআইটি-র গবেষকরা ৷ তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে কোনও ছিদ্র নেই ৷ তা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে ৷ এমনকি জীবজগতের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই ৷ উল্লেখ্য, গত পাঁচ দশকে অর্থাৎ, 1980-2022 সাল পর্যন্ত গবেষণায় যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তাতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা ক্রান্তীয় বলয়ে ওজোন স্তরে ক্ষয় ও তার জেরে বিশালাকার ছিদ্র তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা ৷ তা 'ভুল' বা 'অসম্পূর্ণ' গবেষণা বলেই দাবি করেছেন অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথের নেতৃত্বাধীন গবেষকরা ৷

তাঁদের দাবি, এর আগের গবেষণা করা হয়েছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলের 11 কিলোমিটারের মধ্যে ৷ যাতে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি ৷ তাঁদের গবেষণা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলের 15-20 কিলোমিটার উচ্চতায় ৷ এতে যেমন ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে সূর্যের 'অতিবেগুনি রশ্মি'র বিকিরণ উপগ্রহ থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ ঠিক তেমনই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় নিম্নস্তরের ক্ষতিকর প্রভাবও খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা ৷ 30 ডিগ্রি দক্ষিণ থেকে 30 ডিগ্রি উত্তর, এই প্রক্রিয়ায় উপগ্রহ ক্যামেরায় বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের অবক্ষয় তাঁরা লক্ষ্য করেছেন ৷

তারপরেই গবেষকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ওজোন স্তর এখনও 'অক্ষত' রয়েছে ৷ তারা এও জানিয়েছেন, ওজোন স্তরের গড় ওজোন ভ্যালু 260 ডবসন ইউনিট (ডি-ইউ) ৷ বর্তমানে তা রয়েছে 220 ডি-ইউ ৷ যা ঠিকঠাক বলেই মনে করেছন গবেষকরা ৷ এর ফলে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র তথা জীবকূলের ভয়ের কারণ নেই বলে জানিয়েছেন খড়গপুর আইআইটি-র গবেষকরা ৷

খড়গপুর, 4 সেপ্টেম্বর: এতদিন ধরে বৈজ্ঞানিকরা তথ্য দিয়ে আসছিলেন বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে ক্ষয়ের ফলে ছিদ্র তৈরি হয়েছে ৷ এতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ক্ষতি হচ্ছে পৃথিবীর জীবকূলের ৷ কিন্তু, সেইসব সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে যুগান্তকারী তথ্য দিলেন খড়গপুর আইআইটির গবেষকরা ৷ সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটি-র সমুদ্র, নদী, বায়ুমণ্ডল সম্বন্ধীয় 'কোরাল' (CORAL) বিভাগের অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দল এই আবিষ্কার করেছেন ৷

ওই গবেষক দলের গবেষণাপত্র, 'সাম্প্রতিক দশকগুলিতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে কোনও গুরুতর ওজোন হ্রাস নেই' (No Severe Ozone Depletion in the Tropical Stratosphere in Recent Decades) শিরোনামে এই যুগান্তকারী তথ্য তুলে ধরেছেন ৷ মূলত, এতদিন ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীর জীবকূলকে রক্ষাকারী ওজোন স্তরে একটি বড় ছিদ্র তৈরি হয়েছে ৷ এর ফলে অতিবেগুনি রশ্মি বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৃথিবীতে সরাসরি প্রবেশ করছে ৷ আর তার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷

কিন্তু, অতীতের সেই সব সম্ভাবনা ও দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন খড়গপুর আইআইটি-র গবেষকরা ৷ তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে কোনও ছিদ্র নেই ৷ তা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে ৷ এমনকি জীবজগতের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই ৷ উল্লেখ্য, গত পাঁচ দশকে অর্থাৎ, 1980-2022 সাল পর্যন্ত গবেষণায় যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তাতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা ক্রান্তীয় বলয়ে ওজোন স্তরে ক্ষয় ও তার জেরে বিশালাকার ছিদ্র তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা ৷ তা 'ভুল' বা 'অসম্পূর্ণ' গবেষণা বলেই দাবি করেছেন অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথের নেতৃত্বাধীন গবেষকরা ৷

তাঁদের দাবি, এর আগের গবেষণা করা হয়েছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলের 11 কিলোমিটারের মধ্যে ৷ যাতে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি ৷ তাঁদের গবেষণা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলের 15-20 কিলোমিটার উচ্চতায় ৷ এতে যেমন ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে সূর্যের 'অতিবেগুনি রশ্মি'র বিকিরণ উপগ্রহ থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ ঠিক তেমনই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় নিম্নস্তরের ক্ষতিকর প্রভাবও খতিয়ে দেখেছেন গবেষকরা ৷ 30 ডিগ্রি দক্ষিণ থেকে 30 ডিগ্রি উত্তর, এই প্রক্রিয়ায় উপগ্রহ ক্যামেরায় বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের অবক্ষয় তাঁরা লক্ষ্য করেছেন ৷

তারপরেই গবেষকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ওজোন স্তর এখনও 'অক্ষত' রয়েছে ৷ তারা এও জানিয়েছেন, ওজোন স্তরের গড় ওজোন ভ্যালু 260 ডবসন ইউনিট (ডি-ইউ) ৷ বর্তমানে তা রয়েছে 220 ডি-ইউ ৷ যা ঠিকঠাক বলেই মনে করেছন গবেষকরা ৷ এর ফলে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র তথা জীবকূলের ভয়ের কারণ নেই বলে জানিয়েছেন খড়গপুর আইআইটি-র গবেষকরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.