বর্ধমান, 4 এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে আক্রমণের ঝাঁঝ তত বাড়ছে ৷ বর্ধমানের রায়ানে প্রচারে এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, "ওরা হিংসার মাধ্যমে রাজনীতি করতে চাইছে। ভারতীয় জনতা পার্টি প্রস্তুত আছে। কীভাবে ওদের শায়েস্তা করতে হয় সেটা দিলীপ ঘোষের জানা। আমি এখনও দাদাগিরি শুরু করিনি । ওরা টুকটাক করছে। কামারের ঘা খেলে সোজা হয়ে যাবে ।" আন্দামানে প্রচারে যাওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আন্দামান যাচ্ছি । এর আগে আমি আন্দামানে প্রায় সাড়ে আট বছর ছিলাম ।"
প্রচারে বেরিয়ে জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্তকুমার রায় আক্রান্ত হন ৷ এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ডাক্তারবাবু এর আগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন । তিনি রাজবংশী সমাজের মুখ। বোঝা যাচ্ছে রাজ্যে শাসন ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে । সমাজ গুণ্ডা-দুষ্কৃতীদের হাতে চলে গিয়েছে ।ওরা যদি হিংসার মাধ্যমে রাজনীতি করতে চায় সেই জন্য জনতা ভারতীয় জনতা পার্টি পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। দিলীপ ঘোষের অভিজ্ঞতা আছে কাকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়।"
বর্ধমানে প্রচারে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রায়দিন মন্দিরে যেতে দেখা যাচ্ছে ৷ এই নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল । তার প্রত্যুত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এরা মানুষের কাছে যেতে ভয় পায়। এদের মন্দিরে যাওয়ার মুখ নেই। যারা চোর তাদেরকে লোকে কাঠমানি খোর বলে। তাদের কেউ মন্দিরে ঢুকতে দেবে না । আমরা মন্দিরের সংস্কৃতি তুলে ধরেছি । মন্দির তৈরি করেছি ৷ আমরা মন্দিরে যাব নাকি চোরগুলো মন্দিরে যাবে? যখন বড় কোনও সভা করব তখন ওরা দম নিতে পারবে না । আমাকে তো আর কেউ তাড়া করেনি । ওরা তাড়া খেলে মন্দিরে আশ্রয় নেয় । তখন ঠাকুরের পায়ে পড়ে । আরে মার খেয়ে ঠাকুরের পায়ে না পড়ে আগে থেকে ঠাকুরের পায়ে পড়লে তাহলে তার মার খেতে হবে না । মারের দাগ নিয়ে মন্দিরে গিয়ে লাভ কী ।"
বুধবার পর এদিন ফের দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন," আমাদের কর্মীদের উপর দেওয়াল লিখন করতে গেলে হামলা করা হচ্ছে । রাতে গ্রামে মিটিং করতে গেলে মারধর করা হচ্ছে । ওরা এভাবে রাজনীতি করতে চাইছে ওদেরকে বলে দিচ্ছি এখানে দিলীপ ঘোষ এসে গিয়েছে ওরা অভ্যাস পরিবর্তন করুক । না হলে কী করে অভ্যাস পালটাতে হয় সেটা আমি খুব ভালো করে জানি ।"
আরও পড়ুন: