নৈহাটি, 12 জানুয়ারি: স্ত্রীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ! চন্দ্রলেখা ঘোষকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে ।ঘটনার জেরে শনিবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার নৈহাটিতে । রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মহিলার হাত, পা এবং বুকে গুলি লেগেছে । তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ! তবে, কী কারণে স্ত্রী’কে গুলি করলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি, তা এখনও স্পষ্ট নয় । খুনের চেষ্টার অভিযোগে স্বামী মহেন্দ্রপ্রতাপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির শিবদাসপুর থানার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বাড়ি অভিযুক্ত মহেন্দ্রপ্রতাপ ঘোষের । কয়েক বছর আগে চন্দ্রলেখার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর । শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই গুলির আওয়াজে আঁতকে ওঠেন পাড়া-প্রতিবেশীরা । এরপর তাঁরা মহেন্দ্রপ্রতাপের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন চন্দ্রলেখা । তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু, অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে স্থানান্তরিত করা হয় ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । সেখানেই আপাতত চিকিৎসা চলছে মহিলার ।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক অশান্তি চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে । সেই কারণেই সম্ভবত স্ত্রীকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল মহেন্দ্রপ্রতাপ ।
চন্দ্রলেখার প্রতিবেশী শান্তি দাস বলেন, ‘‘এদিন সন্ধ্যায় চা বানাচ্ছিলাম । সেই সময় পরপর গুলির শব্দ শুনতে পাই । পরে জানলাম ওই ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে গুলি করেছে । এটুকুই জানি । এর বেশি কিছু বলতে পারব না ।’’
যদিও কাকা বাবলু ঘোষের দাবি, স্ত্রী’কে ইচ্ছাকৃতভাবে মহেন্দ্রপ্রতাপ গুলি করেনি । তিনি বলেন, ‘‘ভাইপার একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবার রয়েছে । সেটি অনেকদিন ধরে সে পরিষ্কার করেনি । এদিন যখন সেই রিভলবার পরিষ্কার করতে যায়, তখনই অসাবধানতাবশত গুলি ছিটকে চন্দ্রলেখার শরীরে লাগে । মোট তিনটি গুলি ফায়ার হয়েছে । এখন সে বিপন্মুক্ত ।’’
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করে শিবদাসপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । সেই সঙ্গে ঘাতক রিভলবারটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । অভিযুক্ত মহেন্দ্রপ্রতাপের রিভলবারের লাইসেন্স রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।