বারাসত, 8 মে: রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে চিন্তিত ৷ সম্পূর্ণ ঘটনার প্রভাব পড়েছে তাঁদের মনে ৷ অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাই এবার সরব হলেন উচ্চমাধ্যমিকের দুই কৃতী ছাত্র সৌম্যদীপ সাহা এবং অদ্বিতীয় বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দু'জনেই বললেন, "শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকা উচিত । দুর্নীতি কখনই কাম্য নয় । একমাত্র চাকরি পাওয়া উচিত যোগ্যদেরই ৷" তবে দেশ তথা রাজ্যের বিচার ব্যবস্থার উপর এই দুই কৃতী ছাত্রের পূর্ণ আস্থা এবং ভরসা রয়েছে তাঁদের ৷
এই বছর উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের 6 পড়ুয়া । তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সৌম্যদীপ সাহা ৷ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 495 ৷ নবম হয়েছেন অদ্বিতীয় বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 488 ৷ দু'জনের বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বারাসতে ।
এদিন সাংবাদিকদের নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান দুই বন্ধু ৷ একইসঙ্গে এসএসসি'র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তাঁরা । সৌম্যদীপ বলেন, "আমি রাজনীতি নিয়ে খুব একটা খবর রাখি না । তবে এটুকু বুঝি যোগ্যদের অবশ্যই চাকরি পাওয়া উচিত । ওঁদের জন্য সমব্যথী । শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হওয়া উচিত নয় । পৃথিবীর সব জায়গাতেই দুর্নীতি রয়েছে । তবে পশ্চিমবঙ্গে হয়তো একটু বেশি । এর প্রতিবাদ করছি আমি ।"
অদ্বিতীয় বলেন, "আমি সবসময় মনে করি যোগ্যদেরই সবার আগে চাকরি পাওয়া উচিত । অযোগ্যদের শাস্তি হওয়া দরকার । বিচার ব্যবস্থা ও সরকারের উপর আস্থা রয়েছে । আশা করছি ভবিষ্যতে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আগামীতে এই সমস্যার মুখে যাতে না পড়তে হয় কারও এবং যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা নিয়ম মেনে চাকরি পাক সেই প্রার্থনায় করি ঠাকুরের কাছে ।"
প্রসঙ্গত, 2016 সালের এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ । চাকরি হারান 25 হাজার 573 জন । তবে উচ্চ আদালতের সেই রায়ে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ সুতরাং চাকরি যাচ্ছে না কারও ৷ আগামী 16 জুলাই এই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত ।
আরও পড়ুন: