দুর্গাপুর, 1 অগস্ট: যে কোনও ঋতুর থেকে বর্ষাকালে শারীরিক সমস্যার প্রকোপ অনেক বেশি বেড়ে যায় । পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে ঠান্ডা লাগা, কিছু না-কিছু লেগেই থাকে। তবে বর্ষাকালে যে সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়, তা হল কনজাংটিভাইটিস ৷
এইসময় বিশেষ করে জলবাহিত ডায়েরিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি-সহ বিভিন্ন আ্যলার্জিতে আক্রান্ত হয় ছোট থেকে বড়রা । প্রতি বছর বর্ষায় চোখের এই সংক্রমণের লেগেই থাকে । আট থেকে আশি কনজাংটিভাইটিস সমস্যায় ভুগে থাকেন । চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে চুলকানি,জল পড়া, চোখে ব্যাথা এবং চোখ ফুলে যাওয়া এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ ।
কনজাংটিভাইটিস কী (What is conjunctivitis)?
কনজাংটিভাইটিস (চোখের সাদা অংশ আবৃত স্বচ্ছ ঝিল্লি) এর প্রদাহকে কনজাংটিভাইটিস বলে । মূলত বর্ষাকালে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস অ্যালার্জির কারণে হয় । অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই রোগের জেরে সমস্যায় পড়তে হয় । এই রোগের সমস্যা সমাধানের জন্য ইটিভি ভারত কথা বলে আধুনিক স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত হাসপাতালের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ স্বপন কুমার গড়াইয়ের সঙ্গে ৷
চিকিৎসক বলেন, "এটি মূলত একটি মরশুমি ভাইরাস জনিত রোগ । আ্যডিনো ভাইরাস থেকে এই সমস্যা হয় । এটি ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস । চোখের এই রোগে আক্রান্তদের লক্ষণ দেখা দিলে বিশেষভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন ৷"
সতর্কতা: তিনি জানান, মূলত কনজাংটিভাইটিসের ফলে চোখ লাল, চুলকানি এবং চোখে জল পড়া মূলত 7 থেকে 10 দিন পর্যন্ত থাকে । চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত । তাঁর নির্দেশ মতো চোখের ওষুধ ব্যবহার করা আবশ্যিক । ওষুধের দোকান থেকে ফ্লায়িং ওষুধ কিনে না ব্যবহার করাই ভালো । অনেক সময় চোখে ইনফেকশন দেখা দেয় । কনজাংটিভাইটিস হলে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, চোখে বারবার হাত দেওয়া যাবে না । বাইরে বেরোলে রোদ চশমা পরে বেরোতে হবে । সময়ে সময়ে ওষুধ লাগাতে হবে । এই রোগে আক্রান্তদের গামছা, রুমাল সমস্ত কিছুই আলাদা করে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে । কনজাংটিভিটিস হলে চোখে দু-তিনবার ঠান্ডা জল দেওয়া যেতে পারে । কয়েকদিন আইসোলেশনে থাকলেই এই রোগ আপনা আপনিই ঠিক হয়ে যায় । তবে বাজার থেকে যেকোনও আই ড্রপ কিনে না লাগানোই ভালো । তাতে অনেক সময় ক্ষতি হতে পারে ।