মেমারি, 30 জুন: এক গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় শনিবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে । খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে । মৃত বধূর নাম প্রতিমা চক্রবর্তী (38) ৷ কে বা কারা তাকে খুন করল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারির সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন প্রতিমা চক্রবর্তী । তাঁর স্বামী হৃদয় চক্রবর্তী রাঁধুনির কাজ করেন । শনিবার সকালে তিনি টুরিস্ট বাসে রান্নার কাজে দিঘা চলে যান । ওইদিন রাত আটটা নাগাদ মেমারির চকদিঘি মোড় এলাকায় বোনের দোকানে যান প্রতিমা । রাত দশটা নাগাদ তাঁর বোন বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করলেও সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে দেখেন দিদির রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে । গলার নলি কাটা । মাথায় মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন । থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কেউ বা কারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে । তবে কারা করেছে তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত ৷ এই বিষয়ে মৃতের বোন বুলবুলি মজুমদার বলেন, "আমার তেলেভাজার দোকান আছে । রাত দশটা নাগাদ দোকান থেকে বাড়ি ফিরি । দরজার তলা দিয়ে দেখছি লাল রঙের কিছু গড়িয়ে আসছে । প্রথমে ভেবেছিলাম আলতা জাতীয় কিছু । তারপর ঘরের দরজা খুলতেই দেখি গলাকাটা অবস্থায় রক্তাক্ত দেহ বারান্দায় পড়ে আছে ।"
তিনি আরও বলেন, "রাত আটটা পর্যন্ত আমার দোকানেই ছিল দিদি। প্রায় দিন আমার দোকান থেকে আটটার পরেই চলে আসে । তাঁর গলায় হাতে মুখে ধারালো অস্ত্রের কোপ আছে । বাড়িতে ওরা স্বামী স্ত্রী-ই থাকে । জামাইবাবু রান্নার কাজ করেন । দিঘাতে একটা রান্নার কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সকালে । কীভাবে খুনের ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না ।"