কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: বৌবাজারে মেট্রো বিপর্যয় কাটিয়ে প্রায় সাড়ে চার বছর বাদে স্ব-স্থানে হতে চলেছে বাড়ি নির্মাণ। ফিরবে ঘর ছাড়া একাধিক পরিবার। সেই কর্মযজ্ঞ শুরু হতে চলেছে আগামী রবিবার। দুর্গা পিথুরী লেন ও স্যকরা পাড়া লেনের কাছেই হবে ভিত পুজো। বিপর্যয় স্থলেই 28টি বাড়ি তৈরি করতে চলেছে কেএমআরসিএল।
ডিএমপি নির্মাণ নামক একটি সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই কাজ শেষ হতে সময় লাগবে দেড় থেকে দু'বছর ৷ এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের 48 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে জানান, 2019 সালের পর থেকেই দুর্দশার মধ্যে ছিল পরিবারগুলো। তারা নিজেদের জায়গায় ফিরতে পারবে এটা খুশির খবর। আগামী রবিবার হবে ভিত পুজো। স্ব-স্থানেই 28টি বাড়ি তৈরি করা হবে। খরচ দেবে কেএমআরসিএল। তারা এই বিষয় যথেষ্ট তৎপর। ফের পাড়ায় ঘরে ঘরে জ্বলবে আলো ।
2019 সালের 31 অগস্ট, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ চলছিল জোর কদমেই। আচমকাই রাতে বৌবাজার এলাকার একাধিক বাড়িতে দেখা গেল ফাটল। তারপর সময় যত এগিয়েছে ফাটল বেড়ে বিপর্যয়ের চেহারা নিয়েছে। একের পর এক বাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। প্রায় শতাধিক বাসিন্দাকে রাতারাতি প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়তে হয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে 2022 সালেও ৷
কলকাতার মানচিত্র থেকে দুর্গা পিথুরী লেন ও স্যকরা পাড়া লেন কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। কয়েক ধাপে বাড়ি ঘর হারানো বাসিন্দাদের 5 লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তাঁদের অস্থায়ী ভাবে হোটেলে রাখা হয়। পরবর্তী সময় বেশ কিছু পরিবারকে বেলেঘাটা, বাগুইআটি -সহ বেশ কিছু জায়গায় ফ্ল্যাট দেওয়া হয়। কিন্তু ভিটে থেকে উঠতে হলেও ফেরার লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন অনেকে। আর তাঁদের ফেরাতে লাগাতার লড়াই করে গিয়েছেন কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো তৈরির ভারপ্রাপ্ত কেএমআরসিএল সংস্থার সঙ্গে কখনও নরম, কখনও গরমে চলে আলোচনা। দাবি ছিল একটাই, বাসিন্দাদের বাড়ি ফেরাতে হবে। সেই কাজে শেষমেশ এল সাফল্য।
আরও পড়ুন:
1. শুরু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বউবাজারের দিকে সুড়ঙ্গ খননের কাজ
2. বৌবাজারের ঘরহারাদের অন্নদাতা "রিফিউজি "
3. দেবকে পাশে নিয়ে আরামবাগ থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর