কলকাতা, 10 জুন: বন্ধ হবে না হুক্কা বার ৷ সোমবার এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ ৷ খারিজ হয়ে গেল রাজ্য সরকারের আপিল ৷ 'হুক্কা বারের থেকে অক্সিজেন বার খুলুন' রাজ্য সরকারকে টিপ্পনি কাটতে ছাড়লেন না হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ৷ এদিন আদালত রায়ে জানায়, এখনই বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার ।
2022 সালের ডিসেম্বর মাসে শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধ করার কথা ঘোষণা করছিল কলকাতা পৌরনিগম ৷ তারপর বিষয়টি নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ সেই মামলার শুনানির পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই ধরনের বার বন্ধের কোনও আইন নেই, তাই হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না ৷
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয় । একটি আর্জিতে জানানো হয়, শহরের সব হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দিক আদালত ৷ যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি ৷ এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নতুন করে আইন বা নির্দেশিকা জারি করতেই পারে। কিন্তু যেহেতু 2003 সালে ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ মেনে হুক্কা বার চালানো হয়, তাই সেসব বন্ধ করা যাবে না । এর আগে প্রথমে কলকাতা পৌরনিগম এবং পরে বিধাননগর পৌরনিগম হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ জারি করে ৷
কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম এর আগে জানিয়েছিলেন, শহরের সব রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকেই হুক্কা বার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ৷ অনুরোধে কাজ না-হলে, অথবা গোপনে হুক্কা বার চালালে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে ৷ এমনকী নিয়ম অমান্য করলে রেস্তোরাঁগুলির লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মেয়র ৷ সেই মতো পুলিশ পদক্ষেপও শুরু করে । পৌরনিগম এবং পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হুক্কাবারের কয়েক জন মালিক ।
তাঁদের বক্তব্য, পৌর আইনে হুক্কা বার বন্ধের বিষয়ে বলা নেই । মামলার শুনানির পর সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, যদি হুক্কা বার বন্ধ করতে হয়, তবে রাজ্য বা পৌরসভাকে নতুন আইন প্রণয়ন করে তা বন্ধ করতে হবে । তার আগে পর্যন্ত হুক্কা বারগুলির বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।