ETV Bharat / state

রুজির টানে টোটোচালক, পুজো এলেই মাটির প্রতিমা গড়েন 'শিল্পী' রঞ্জু - Durga Puja 2024

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

Hooghly Toto Driver Makes Durga Idol: অভাবের তাড়নায় টোটোচালাতে বাধ্য় হন শিল্পী রঞ্জু ৷ বছরভর তো পুজোর কাজ থাকে না ৷ তাই সংসার চালাতে টোটোও চালান তিনি ৷ তবে পুজোর মরশুমে তাঁর নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না ৷ তাঁর সঙ্গে কথা বলল ইটিভি ভারত ৷

Hooghly News
হুগলির টোটোচালক যুবক প্রতিমা তৈরি করছেন (ইটিভি ভারত)

বৈঁচিগ্রাম, 25 সেপ্টেম্বর: পেশায় টোটো চালক । তবে মাটির প্রতিমা গড়েন ভালোবাসেন বলে ৷ সেই ভালোবাসায় মাটির প্রলেপ দিয়েই শিল্পী হয়ে উঠেছেন বৈঁচিগ্রামের রঞ্জু বন্দোপাধ্যায় । এবছর একাধিক প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছেন তিনি । কিন্তু, তাতেও রোজগার কম । তাই বাধ্য হয়ে বাকি সময়টা টোটো চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন রঞ্জু । আগামী দিনে বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করেই বড় শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি ৷

দারিদ্রের মধ্যে বড় হওয়া রঞ্জুর ছোটবেলা থেকেই মূর্তি গড়ার শখ । সেই ইচ্ছে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় শিখে আজ বড় বড় দুর্গা তৈরি করছেন বৈঁচিগ্রামের পূর্বপাড়ার বছর পঁচিশের এই যুবক । অভাবের সংসার ও অসুস্থতার জন্য মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয় । তাই বাধ্য হয়েই গ্রামে এক মৃৎশিল্পী শম্ভু কর্মকারের কাছে মূর্তি তৈরি শেখা । এরপর চন্দননগরের মানকুন্ডুর বিভিন্ন মূর্তির তৈরির গোলায় কাজ শিখেছিলেন ৷

রুজির টানে টোটোচালক, পুজো এলেই মাটির প্রতিমা গড়েন রঞ্জু (ইটিভি ভারত)

পরিবার বলতে মা-বাবা ও এক দাদা । বাবা সুধীর বন্দ্যোপাধ্যায় সামান্য ট্রেনে হকারি করে যা উপার্জন করেন তাই দিয়ে সংসার চালিয়ে দুই ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়েছেন । টালির চালে মাটির বাড়িতে কোনওরকমে বসবাস করেন তাঁরা । বর্ষার সময় ঘরের চাল থেকে বৃষ্টি পরে । অভাবের সংসারে ঘরের চাল সারাবার ক্ষমতা নেই । অতিকষ্টে জীবনযাপন করে তাঁরা ।

রঞ্জুর কথায়, "ছোটবেলা থেকেই আমার ঠাকুর তৈরি করার শখ । সংসারের অবস্থা তেমন ভালো নয় ৷ বাবা হকার । আমি টোটো চালিয়ে ও ঠাকুর তৈরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি । পড়াশোনা বেশি করতে পারিনি । এখন কয়েকবছর ধরে নিজেই ঠাকুর তৈরি করছি । মগরার ত্রিবেণী, বলাগরের চন্দ্রহাটি থেকে অর্ডার পেয়েছি । বৈঁচিগ্রামে সিংহবাড়ির ঠাকুর তৈরি করেছি । এবারে সাতটি দুর্গা করছি । প্রায় 30টি সরস্বতী ঠাকুরের অর্ডার থাকে প্রতিবছর । তবে ঠাকুর তৈরি করে খুব বেশি লাভ হয় না । তাই টোটো চালিয়েও রোজগার করতে হয় ।"

রঞ্জুর মা কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছোট ছেলে রঞ্জু ঠাকুর তৈরি করে । বড় ছেলে ওষুধের দোকানে কাজ করে । আর ওর বাবা ট্রেনে হকারি করেন । এইভাবেই আমাদের সংসার কোনওরকমে চলে । ওর বাবা কাজ না করলে আমাদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে উঠবে । রঞ্জু পড়াশোনায় ভালো না হলেও ঠাকুর তৈরি করতে ভালো পারত । আমরা চাই যে ভালো শিল্পী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াক । প্রতিমা তৈরির কাজ সারাবছর থাকে না । লোন করে টোটো কিনেছি । আর সেই টোটো চালিয়েই যেটুকু রোজগার হয় আমাদের ।"

বৈঁচিগ্রাম, 25 সেপ্টেম্বর: পেশায় টোটো চালক । তবে মাটির প্রতিমা গড়েন ভালোবাসেন বলে ৷ সেই ভালোবাসায় মাটির প্রলেপ দিয়েই শিল্পী হয়ে উঠেছেন বৈঁচিগ্রামের রঞ্জু বন্দোপাধ্যায় । এবছর একাধিক প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছেন তিনি । কিন্তু, তাতেও রোজগার কম । তাই বাধ্য হয়ে বাকি সময়টা টোটো চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন রঞ্জু । আগামী দিনে বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করেই বড় শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি ৷

দারিদ্রের মধ্যে বড় হওয়া রঞ্জুর ছোটবেলা থেকেই মূর্তি গড়ার শখ । সেই ইচ্ছে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় শিখে আজ বড় বড় দুর্গা তৈরি করছেন বৈঁচিগ্রামের পূর্বপাড়ার বছর পঁচিশের এই যুবক । অভাবের সংসার ও অসুস্থতার জন্য মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয় । তাই বাধ্য হয়েই গ্রামে এক মৃৎশিল্পী শম্ভু কর্মকারের কাছে মূর্তি তৈরি শেখা । এরপর চন্দননগরের মানকুন্ডুর বিভিন্ন মূর্তির তৈরির গোলায় কাজ শিখেছিলেন ৷

রুজির টানে টোটোচালক, পুজো এলেই মাটির প্রতিমা গড়েন রঞ্জু (ইটিভি ভারত)

পরিবার বলতে মা-বাবা ও এক দাদা । বাবা সুধীর বন্দ্যোপাধ্যায় সামান্য ট্রেনে হকারি করে যা উপার্জন করেন তাই দিয়ে সংসার চালিয়ে দুই ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়েছেন । টালির চালে মাটির বাড়িতে কোনওরকমে বসবাস করেন তাঁরা । বর্ষার সময় ঘরের চাল থেকে বৃষ্টি পরে । অভাবের সংসারে ঘরের চাল সারাবার ক্ষমতা নেই । অতিকষ্টে জীবনযাপন করে তাঁরা ।

রঞ্জুর কথায়, "ছোটবেলা থেকেই আমার ঠাকুর তৈরি করার শখ । সংসারের অবস্থা তেমন ভালো নয় ৷ বাবা হকার । আমি টোটো চালিয়ে ও ঠাকুর তৈরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি । পড়াশোনা বেশি করতে পারিনি । এখন কয়েকবছর ধরে নিজেই ঠাকুর তৈরি করছি । মগরার ত্রিবেণী, বলাগরের চন্দ্রহাটি থেকে অর্ডার পেয়েছি । বৈঁচিগ্রামে সিংহবাড়ির ঠাকুর তৈরি করেছি । এবারে সাতটি দুর্গা করছি । প্রায় 30টি সরস্বতী ঠাকুরের অর্ডার থাকে প্রতিবছর । তবে ঠাকুর তৈরি করে খুব বেশি লাভ হয় না । তাই টোটো চালিয়েও রোজগার করতে হয় ।"

রঞ্জুর মা কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছোট ছেলে রঞ্জু ঠাকুর তৈরি করে । বড় ছেলে ওষুধের দোকানে কাজ করে । আর ওর বাবা ট্রেনে হকারি করেন । এইভাবেই আমাদের সংসার কোনওরকমে চলে । ওর বাবা কাজ না করলে আমাদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে উঠবে । রঞ্জু পড়াশোনায় ভালো না হলেও ঠাকুর তৈরি করতে ভালো পারত । আমরা চাই যে ভালো শিল্পী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াক । প্রতিমা তৈরির কাজ সারাবছর থাকে না । লোন করে টোটো কিনেছি । আর সেই টোটো চালিয়েই যেটুকু রোজগার হয় আমাদের ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.