জলপাইগুড়ি, 19 জুন: ভস্মীভূত ঐতিহ্য়বাহী জলদাপাড়ার হলং বাংলো ৷ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের কথা জানালেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী) দেবল রায়। মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ ঐতিহ্যবাহী হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ৷ খবর দেওয়া হয় ফালাকাটা ও হাসিমারা দমকল কেন্দ্রে। অভিযোগ, একঘণ্টা পর 10টা 10 মিনিটে ঘটনাস্থলে আসে দমকল বাহিনী ৷
এই হলং বাংলোর মতো ঐতিহ্যবাহী ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় কেন দমকল আসতে দেরি করেছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে ৷ এমনকী আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বনকর্মীদের কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই । প্রসঙ্গত, বর্তমানে জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ ৷ হলং বাংলোর এবং ওই এলাকায় নিরাপত্তারক্ষী-সহ অন্য বনকর্মীরাই ছিলেন । 9টা নাগাদ আগ্নিকাণ্ডের পর সেই ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও ছবি এখনও সামনে আসেনি । সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ঐতিহ্যবাহী এই বাংলোয় আগুন লাগার পর সেটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেননি উপস্থিত বনকর্মীরা ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে, রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী) দেবল রায় জানান, কীভাবে এবং কখন আগুন লেগেছিল, সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে বনকর্মীদের ভূমিকা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে ৷ আগুন লাগার নেপথ্যে কোনও অপরাধমূলক প্রবণতা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে ৷ ইতিমধ্যে আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে ৷ উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল জেভি ভাস্ক-সহ অন্য আধিকারিকরা যাবেন ঘটনাস্থলে ।
প্রসঙ্গত, 16 জুন থেকে 15 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবক'টি জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য বন্ধ থাকে । বন্যপ্রাণীদের প্রজনন ঋতু হওয়ায় সরকারি বন বাংলোগুলিও বন্ধ থাকে ৷ ফলে কোনও পর্যটক হলং বাংলো এলাকায় ছিলেন না ৷ তাই কী কারণে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হবে ৷ জাতীয় উদ্যানের ভিতরে বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী) দেবল রায় ।