দার্জিলিং, 1জুলাই: পাহাড়ে টানা বৃষ্টির জেরে একদিকে বন্যা পরিস্থিতি ও অন্যদিকে ধস ৷ জনজীবনের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণের। রবিবারই দার্জিলিঙের কালিঝোরা বাঁধ থেকে উদ্ধার হল একটি হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারের দেহ। বন আধিকারিকদের অনুমান, তিস্তার প্রবল জলোচ্ছাসে তলিয়ে গিয়ে মৃ্ত্যু হয়েছে ওই হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারের।
এই বিষয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল (উত্তরবঙ্গ) রাজেশ কুমার বলেন, "বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগের। সে কারণে সমতলে অতিরিক্ত নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। মনিটরিং টিমের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। প্রতিটি বিটকেই সতর্ক করা হয়েছে।" এই ব্ল্যাক বিয়ারের বা কালো ভাল্লুকের দেহ ভেসে আসা নিয়ে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ( বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জেভি বলেন, "একটি ভাল্লুকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি বক্সাতে কয়েকটি হরিণকে তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা গিয়েছে । বড় প্রাণীর ক্ষেত্রে উদ্ধার কাজ চালানোটা সম্ভব হলেও, ছোট প্রাণীর ক্ষেত্রে তা অসম্ভব।"
তিনি আরও জানান, জঙ্গল ও বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে এই ধরণের প্রত্যেকটি রেঞ্জের অধীনে ক্যাম্প অফিস খোলা হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় খোলা হয়েছে ক্যাম্প অফিস। প্রায় 40টির বেশি মনিটরিং টিম রাখা হয়েছে ৷ বন্যা পরিস্থিতি হলে ওই দল টানা নজরদারি চালাবে। হরিণ ও হাতির পালের উপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। নদীতে কোনও প্রাণীর দেহ ভেসে এলে তৎক্ষণাৎ সেটিকে উদ্ধার করতে বলা হয়েছে ।
কয়েকদিন আগেই বক্সার জঙ্গলের একটি নদীতে কয়েকটি হরিণকে তলিয়ে যাওয়া থেকে উদ্ধার করে বনদফতর ৷ তাই এবার এই বন্যা ও ধস পরিস্থিতিতে বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে উদ্যোগী বনদফতর । সম্প্রতি সিকিমে প্রবল বৃষ্টির কারণে একাধিক জঙ্গলে ধস ও বন্যা হয়। সেই বন্যায় ভেসে গিয়েছে একাধিক বন্য প্রানী । পাহাড় তো বটেই সমতলেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়।