কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে ঢুকতে না পেরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে নালিশ জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ৷ শুক্রবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী জানান, তাঁরা 6 জন ছিলেন। কিন্তু তাঁদের কোনওভাবেই এদিন সন্দেশখালিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। প্রতিনিধিদল তাদের গোটা অভিজ্ঞতা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন বলেও দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তাদের দাবি, সব শুনে রাজ্যপালও দুঃখিত বলে অন্নপূর্ণা জানিয়েছেন।
এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে 6 সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী ৷ তিনি জানান, এভাবে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে অর্ধেক রাস্তা থেকে ফিরবে না প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দল উচ্চ আদালতে যাবে। তিনি বলেন, "উচ্চ আদালতে আমরা সন্দেশখালি যাওয়ার আবেদন জানাব। যেন আদালত আমাদের ওখানে যেতে অনুমতি দেয়। আমরা সন্দেশ খালি যাবই।"
তিনি আরও বলেন, "ওখানে পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা মহিলা থেকে শিশু সবার উপরে অত্যাচার করেছে। এখান থেকে ফিরে প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও এই বিষয়টি নিয়ে দেখা করবে। পুলিশ এখন রক্ষক নেই। পুলিশ এখানে ভক্ষকের ভূমিকায় রয়েছে। পুলিশ সেখানে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।" এদিন প্রতিনিধিদল সন্দেশখালির ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।
আসানসোলের বিধায়ক অগ্রিমিত্রা পাল জানান যে, এভাবে সত্যিকে চাপা যায় না ৷ তিনি বলেন, "সমস্ত মহিলাদের এবার বিজেপি জানাবে যে এই রাজ্যের সরকার তাদের সম্মান বিক্রি করে। হাজার টাকার বিনিময়ে মহিলাদের সম্মান বিক্রি করছে রাজ্য সরকার। আদালতের অনুমতি নিয়ে এসে প্রতিনিধি দল আবার সন্দেশখালি যাবে। দরকার হলে রাষ্ট্রপতিরকে আজকের পুরো বিষয় জানান হবে।" এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এই কথা জানায় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। সন্দেশখালিতে যেতে ছয় সদস্যের কমিটিকে যেতে না দেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন
লোকসভার লড়াইয়ে 100 দিনের টাকা ফেরানোই অস্ত্র, আট দিনের সহায়তা শিবিরের ঘোষণা অভিষেকের
সন্দেশখালি থেকে 1 কিলোমিটার আগে অধীরকে আটকাল পুলিশ, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ কংগ্রেসের