কলকাতা, 21 মার্চ: গার্ডেনরিচের নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে 10 ৷ দুর্ঘটনা পরবর্তী সময় উদ্ধারকাজ চলাকালীন দফায়-দফায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় একাধিক জনের ৷ এখনও হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন মইনুল হক(23), সাহিলুদ্দিন গাজী(21), মুসরত জাহান(35)। এঁরা সকলেই গুরুতর আহত হয়েছেন গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৷
রবিবারের দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মুসরত জাহানারা ৷ গুরুতর চোট লাগে তাঁর শিরদাঁড়ায় ৷ বিভিন্ন জটিল পরীক্ষার-নীরিক্ষার পর অস্ত্রোপচারের কথা বলেছেন চিকিৎসকরা ৷ বুধবার তাঁর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে ৷ আপাতত তিনি এইচডিইউ (HDU)তে আছেন ৷ চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণ করছেন ৷ চিকিৎসকদের কথা মতো মুসরত জাহানারার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ।
রবিবার রাতের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় স্মৃতি এখনও টাটকা আহত মইরুলের ৷ এই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে ছিল তাঁর একটি পা ৷ দীর্ঘক্ষণ চাপা পড়ে থাকার কারণে তাঁর পা অত্যন্ত খারাপ ভাবে জখম হয় ৷ চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করার কথা বলেন ৷ সেই মতো সোমবার তাঁর পায়ের অস্ত্রোপচার হয় ৷ তবে কপাল জোরে অস্ত্রোপচার সফল হয় ৷ তাঁর পা বাদ দিতে হয় না ৷ পরবর্তীতে তাঁকে রাখা হয়েছিল ভ্যান্টিলেশনে । অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ক্রিটিক্যাল ছিলেন। কিন্তু গতকাল রাতে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ট্রমা কেয়ার বিভাগে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে । তাঁর শারীরিক অবস্থাও অনেকটাই স্থিতিশীল।
আর সাহিলুদ্দিন গাজীর কোমরের নীচের অংশ ভেঙে গিয়েছে । বৃহস্পতিবার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হতে পারে । সেই নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করছেন চিকিৎসকেরা। ইউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকের তাঁকে দেখছেন। তবে তিনি শারীরিক ভাবে অনেকটাই স্থিতিশীল। এছাড়াও হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই ঘটনায় নতুন যদি কোনও রোগীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁর জন্য ট্রমাকেয়ারের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বেড প্রস্তুত ৷
অপরদিকে গার্ডেনরিচের স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছে 12 জন। তাঁদের বেশিরভাগজনেরই হাত বা পা ভেঙে গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে । এসএসকেএম হাসপাতালের পাশাপাশি সেই বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছে স্বাস্থ্যভবনও। এমনকী গার্ডেনরিচের বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসাধীন, তাঁদের যদি কারও শারীরিক অবনতি হয় তাহলে তাঁকেও ততক্ষণাৎ এসএসকেএমে নিয়ে আসা হবে । তাই নিয়মিত ওই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এসএসকেএম হাসপাতালের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: