কলকাতা, 25 জানুয়ারি: মাধ্যমিকের সময় পরিবর্তন মামলায় রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এবিষয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বক্তব্য, "পৌনে 12টার সময় পরিবর্তন করে পৌনে 10টা হওয়ার সঠিক কারণ জানানো হয়নি ৷ প্রশাসনিক কারণে এই সময় পরিবর্তন করার কথা বলা হয়েছে ৷" বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের সময় পরিবর্তন সংক্রান্ত দীর্ঘ শুনানি হয় ৷ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যের প্রতি ক্ষোভ ব্যক্ত করলেও শেষ মুহূর্তে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত বদল করতে নির্দেশ দেননি তিনি ৷ তবে পর্ষদকে কিছু নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি বদলে সকাল 11টা 45 মিনিটের বদলে 9টা 45 মিনিটে এগিয়ে এনেছে ৷ এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ৷
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চান, "হঠাৎ পরীক্ষা শুরুর 15 দিন আগে কেন এই সময় পরিবর্তন ?" রাজ্য সরকার উত্তরে বলে, "রাস্তার যানজট !" এরপর বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, "ভিত্তিহীন যুক্তি ৷ হঠাৎ এই বছর এই সময়ে আপনাদের এটা মনে পড়ল কেন ? আমি চাইব না, এই সময় পড়ুয়ারা কোনও বিড়ম্বনায় পড়ুক ৷ এইসব ফালতু যুক্তি দিয়ে আপনাদের কর্তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ! দরকার হলে হেলপ লাইন নম্বর কাল থেকে চালু করবে রাজ্য ৷ কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে সমস্যায় পড়লে, তারা ওই নম্বরে জানাবে ৷ পুলিশ তাদের স্কুলে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করবে ৷ দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে এই সব করা হচ্ছে ৷ এটাকে কোনওভাবে সমর্থন করা যায় না ৷"
এরই সঙ্গে বিচারপতি আরও বলেন, "সময় পরিবর্তন যেমন যুক্তিযুক্ত নয়, তেমনই এখন আবার এটা পরিবর্তন করতে বললে, সেটা নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করবে ৷ তাতে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি আরও বাড়তে পারে ৷" রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, 30 জানুয়ারি থেকে নতুন করে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে ৷ এখন প্রতি জেলায় ডিএম, এসডিও এবং এসআই অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ৷ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, কন্ট্রোল রুমের ব্যাপারটা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে ৷
আরও পড়ুন: