ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল ! শাটার বন্ধ 3 কোটির ‘কর্মতীর্থ’, বারাসতে বিঁশবাও জলে হকার সমস্যার সমাধান - Hawker Controversy

Hawker Problem In Barasat: 'কর্মতীর্থ' তৈরির পরেও ফুটপাত দখল করেই ব‍্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে হকারদের । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও অবস্থাটা বদলায়নি ৷ এমনকী উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ ।

Hawker Problem In Barasat
বারাসতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 4, 2024, 9:35 PM IST

বারাসত, 4 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার ! প্রায় 3 কোটি টাকা খরচে তৈরি হওয়ার দু'বছর পরেও চালু হয়নি হকারদের জন্য 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । হারিয়ে গিয়েছে নথিপত্রও ৷ বারাসতে বিঁশ বাও জলে হকার সমস্যার সমাধান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো 2014 সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রশাসন ৷ 2022 সালে শেষ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । তারপরও হকারদের দোকানঘর হস্তান্তর করা হয়নি বলেই অভিযোগ ।

বারাসতে বিঁশবাও জলে হকার সমস্যার সমাধান (ইটিভি ভারত)

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে মুখ থুবড়ে পড়েছে হকার সমস্যার সমাধান । ফুটপাত দখলমুক্ত করতে খোদ রাজ‍্যের প্রশাসনিক উদ্যোগী হলেও, তাঁরই সাধের 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন তা চালু করা গেল না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে । এর নেপথ্যে স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে । যদিও, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, কর্মতীর্থ প্রকল্পের কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে । সেই কারণেই হকারদের স্থায়ী সমাধান এখনও করা যায়নি । তবে, দ্রুত হকার সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ ।

বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, "পুর প্রশাসন এবং হকারদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেই ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।আমরা চেষ্টা করছি সেই ফাইল খুঁজে বের করার । তাছাড়া কর্মতীর্থ প্রকল্পে যাঁদের দোকান দেওয়া হবে, তাঁদের তালিকাও খুঁজে বের করা প্রয়োজন !আমরা কিছু নাম বের করতে পেরেছি । বাকিদের নামের তালিকাও খুঁজে বের করা হচ্ছে । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত তা চালু করে দেওয়া হবে ।"

বারাসতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হোক কিংবা অলিগলি, অধিকাংশই ছোটখাটো ব‍্যবসায়ীদের দখলে । ফুটপাত বলতে কিছুই নেই । যা নিয়ে তিতিবিরক্ত শহরবাসী । দ্রুত ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু, ঠিক উলটো ছবি বারাসতে । অথচ এই হকার সমস্যার স্থায়ী সমাধানেই টাকি রোডের ধারে পুরসভার জমিতে তৈরি হয়েছে 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । দু’বছর আগে যার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে । তারপরও সেখানে হকারদের দোকানঘর হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ ।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো 2014 সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রশাসন ।এর জন্য বরাদ্দ করা হয় 2 কোটি 91 লক্ষ টাকা । নানা জটিলতা কাটিয়ে 2022 সালে শেষ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । মূলত এই প্রকল্পে দোকান পাওয়ার কথা চাঁপাডালি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হাতিপুকুরের দু'ধারের ফুটপাত দখল করে থাকা হকারদের একাংশের । এছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও দোকান হস্তান্তর করার কথা রয়েছে সেখানে । এই ভবনে মোট 91টি দোকান রয়েছে । এর মধ্যে দোতলায় 46টি এবং নিচের তলায় 45টি দোকানঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই । তারপরও সেই সমস্ত দোকানঘর শাটারবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।

এদিকে, এখনও ফুটপাত দখল করেই ব‍্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে হকারদের । এতে সমস্যাও বাড়ছে । এমনকী উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কাও করছেন হকারদের কেউ কেউ । তাঁরা চাইছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক । তাতে যেমন সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধা হবে, তেমনই স্থায়ী সমাধান হবে তাঁদেরও ।

বারাসত, 4 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার ! প্রায় 3 কোটি টাকা খরচে তৈরি হওয়ার দু'বছর পরেও চালু হয়নি হকারদের জন্য 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । হারিয়ে গিয়েছে নথিপত্রও ৷ বারাসতে বিঁশ বাও জলে হকার সমস্যার সমাধান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো 2014 সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রশাসন ৷ 2022 সালে শেষ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । তারপরও হকারদের দোকানঘর হস্তান্তর করা হয়নি বলেই অভিযোগ ।

বারাসতে বিঁশবাও জলে হকার সমস্যার সমাধান (ইটিভি ভারত)

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে মুখ থুবড়ে পড়েছে হকার সমস্যার সমাধান । ফুটপাত দখলমুক্ত করতে খোদ রাজ‍্যের প্রশাসনিক উদ্যোগী হলেও, তাঁরই সাধের 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন তা চালু করা গেল না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে । এর নেপথ্যে স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে । যদিও, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, কর্মতীর্থ প্রকল্পের কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে । সেই কারণেই হকারদের স্থায়ী সমাধান এখনও করা যায়নি । তবে, দ্রুত হকার সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ ।

বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, "পুর প্রশাসন এবং হকারদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেই ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।আমরা চেষ্টা করছি সেই ফাইল খুঁজে বের করার । তাছাড়া কর্মতীর্থ প্রকল্পে যাঁদের দোকান দেওয়া হবে, তাঁদের তালিকাও খুঁজে বের করা প্রয়োজন !আমরা কিছু নাম বের করতে পেরেছি । বাকিদের নামের তালিকাও খুঁজে বের করা হচ্ছে । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত তা চালু করে দেওয়া হবে ।"

বারাসতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হোক কিংবা অলিগলি, অধিকাংশই ছোটখাটো ব‍্যবসায়ীদের দখলে । ফুটপাত বলতে কিছুই নেই । যা নিয়ে তিতিবিরক্ত শহরবাসী । দ্রুত ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু, ঠিক উলটো ছবি বারাসতে । অথচ এই হকার সমস্যার স্থায়ী সমাধানেই টাকি রোডের ধারে পুরসভার জমিতে তৈরি হয়েছে 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । দু’বছর আগে যার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে । তারপরও সেখানে হকারদের দোকানঘর হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ ।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো 2014 সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রশাসন ।এর জন্য বরাদ্দ করা হয় 2 কোটি 91 লক্ষ টাকা । নানা জটিলতা কাটিয়ে 2022 সালে শেষ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । মূলত এই প্রকল্পে দোকান পাওয়ার কথা চাঁপাডালি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হাতিপুকুরের দু'ধারের ফুটপাত দখল করে থাকা হকারদের একাংশের । এছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও দোকান হস্তান্তর করার কথা রয়েছে সেখানে । এই ভবনে মোট 91টি দোকান রয়েছে । এর মধ্যে দোতলায় 46টি এবং নিচের তলায় 45টি দোকানঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই । তারপরও সেই সমস্ত দোকানঘর শাটারবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।

এদিকে, এখনও ফুটপাত দখল করেই ব‍্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে হকারদের । এতে সমস্যাও বাড়ছে । এমনকী উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কাও করছেন হকারদের কেউ কেউ । তাঁরা চাইছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক । তাতে যেমন সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধা হবে, তেমনই স্থায়ী সমাধান হবে তাঁদেরও ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.