মালদা, 26 জুন: এবার দেরিতে এসেছে বর্ষা ৷ কিন্তু তার আগেই ঢাকঢোল বাজিয়ে এসে পড়েছে ডেঙ্গি ৷ সাধারণত জুলাই মাস থেকে মালদা জেলায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে সারা জেলায় ৷
মে মাস পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 142 জন ৷ এর মধ্যে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকেই 24 জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ 1 থেকে 25 জুনের মধ্যে এই ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন আরও আট জন ৷ বর্ষা শুরু হলে সংখ্যাটা যে হু হু করে বেড়ে যাবে, তা নিয়ে নিশ্চিত প্রশাসন ৷ তাই কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন এই ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ হালদার ৷ প্রতিটি জায়গায় তাঁরা মানুষকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনও করেন ৷
বিডিও সত্যজিৎ হালদার বলেন, "জুন মাসে কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে 8 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে, জুন মাসে একটি ব্লকে আট জনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ভয়ঙ্কর ৷ তাই এই ব্লকের প্রত্যেকের কাছে আমার অনুরোধ, কেউ যেন বাড়ির আশেপাশে জল জমতে না দেন ৷ নিয়মিত বাড়ির সমস্ত অংশ নজরে রাখুন ৷ সবাই যদি একজোট হয়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ না করতে পারি, তবে জুলাই মাসে কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে ৷"
মালদার কালিয়াচক 1 ও 3 নম্বর ব্লককে ডেঙ্গির হাব বললে অত্যুক্তি হবে না ৷ কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে রয়েছে জল জমে থাকার অসংখ্য জায়গা ৷ প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই এলাকার প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির সঙ্গে গোডাউনগুলি ঘুরে দেখেন ৷ কারণ এই কারখানাগুলিতে বর্জ্য প্লাস্টিকের ভিতরেই জমে থাকে জল ৷ এরপর তাঁরা স্থানীয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন ৷ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে তাঁরা ব্লক অফিসে ডেঙ্গি-সহ পতঙ্গবাহিত রোগ দূরীকরণে যুক্ত কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ৷ শেষে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাঁরা ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেন ৷
বিডিও সত্যজিৎ হালদার বলেন, "24 ও 25 জুন মালদা জেলার সমস্ত সরকারি ভবন, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছে ৷ কারণ জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব ঘটার সম্ভাবনা ৷ ততদিনে বর্ষা চলে আসার কথা ৷ তার আগে আমরা সবাইকে ডেঙ্গি নিয়ে সতর্কও করছি ৷"