কলকাতা, 20 জানুয়ারি: রামমন্দির উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । শনিবার বিকেলে রাজভনের লনে এক বেসরকারি সংস্থার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামমন্দিরের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন রাজ্যপাল । তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদির আমলে শ্রীরামের স্থাপনা হচ্ছে । নয়া ভারতকে দুর্নীতি গ্রস্ত, দেশ বিরোধীদের ও জঙ্গিদের থেকে মুক্ত করা হচ্ছে । ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এক বড় পরিবর্তন এসেছে । তিনি মানব সেবার জন্য কাজ করে চলেছেন ।"
এ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্থা ও অসম রাইফেলসের ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান রাজ্যপাল । তিনি বলেন, "এই সংস্থা সামাজিক ক্ষেত্রে যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসনীয় । যারা সাহিত্যের ক্ষেত্রে নিজের অবদান রাখছেন । যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে সব কিছু করার সম্ভব । আজ যাঁদের সম্মানিত করা হয়েছে, তাঁরা তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন । আদিবাসী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে আসা আমাদের কর্তব্য ।" তাঁদের সহযোগিতা করলে আদিবাসী সমাজের ছাত্রছাত্রীরা এগিয়ে আসবে বলে জানান রাজ্যপাল । তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মন দিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন । আর দেশের নির্মাণের জন্য নিজের অবদান রাখতে বলেন ৷
এ দিন রাজভবন চত্বরের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল ছাড়াও সংস্থার সদস্যরা ও সামাজিক সেবিকা যমুনা টুডু-সহ আদিবাসী সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষরা । অনুষ্ঠানে সামাজিক ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া হয় । বিশিষ্ট লেখক আলোক শর্মাকে হিন্দি সাহিত্যের অবদানের জন্য সম্মাননা জ্ঞাপন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তিনি মঞ্চ থেকে নেমে এসে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন । অমিতাভ দে-কে ছোটদের সাহিত্যের অবদানের জন্য সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় । এছাড়াও রাজস্থান থেকে আগত রমাপাতি সিংহ-কে সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয় । ড. কাঞ্চন গাবাকে পুরস্কৃত করেন তিনি । রাজ্যপালের পক্ষ থেকে পুরস্কার প্রাপ্তদের 25 হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় ।
এ দিন অসম রাইফেলসের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে সম্মাননা জ্ঞাপন করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট অঙ্কুশ । পদ্মশ্রী যমুনা টুডু অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘আমি খুশি যে কলকাতায় আমাকে সংকল্প সৃষ্টির পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে । আজ বাংলা বা ঝাড়খণ্ড যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসনীয় । দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যে গ্রাম থেকে আসেন, আমি সেই গ্রামে থাকি ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘জঙ্গলে সবুজ বাঁচানোর জন্য আমি কাজ করেছি । যার জন্য আমার উপরে আক্রমণ করা হয়েছিল । কিন্তু আমি মাথানত করিনি । কারণ, আমি জঙ্গল বাঁচনোর জন্য কাজ করেছি । আমাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেডি টারজানের নাম দিয়েছিলেন । আমাকে পদ্মশ্রীতে সম্মানিত করেছিলেন । আমি তাঁর জন্য কৃতজ্ঞ । আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আমরা জঙ্গল বাঁচানোর জন্য কাজ করে যাব ৷’’ তিনি আরও জানান যে তিনি 10 হাজার মহিলাকে নিয়ে গাছে আত্মীয়ের মতো আদর-যত্ন করার কাজ করেন ৷ অন্যদিকে এ দিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আদিবাসী নৃত্য পরিবেশন করেন সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা ।
আরও পড়ুন: