কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: তিনি প্রাক্তন আইএএস অফিসার। জেলাশাসকও বটে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোসের ঝুলিতে কবিতা-সাহিত্যও আছে অনেক। কিন্তু, তিনি যে চুটিয়ে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন, তা জানা গেল রবিবার। ছুটির দুপুরে শুরু হওয়া আড্ডা শেষ করলেন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ। তখন ব্যারাকপুরের গঙ্গাপাড়ে হালকা শীতের আমেজ বাড়তে শুরু করেছে। রওনা দিলেন কলকাতার উদ্দেশে। কিন্তু, যাঁদের সঙ্গে আড্ডা দিলেন তারা তখনও রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
4 ফেব্রুয়ারি কলকাতার একদল সাংবাদিকদের নিয়ে ব্যারাকপুরের ফ্ল্যাগ হাউজে বনভোজনের আয়োজন হয়। দিনকয়েক আগে রাজভবন বিটের কয়েকজন সাংবাদিক রাজ্যপালের কাছে বনভোজনের আমন্ত্রণ জানাতে যান। কিন্তু রাজ্যপাল বলেন না, রাজভবন আয়োজন করবে আপনারা আসবেন। সঙ্গে থাকব আমি। এরপর সপ্তাহ ঘোরার আগেই দিনক্ষণ, ভেন্যু জানাল হল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের থেকে নাম চাওয়া হয়। যাঁরা নিয়মিত রাজভবনের খবরের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁদের নাম চেয়ে পাঠানো হয়। সবশেষে রবিবারের এই আয়োজন।
ভেন্যু জানা গেলেও মেনু নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। রাজ্যপাল তো ভেজ খাবার খান। মেন্যু কী ভেজ? না। অপেক্ষার অবসান। ডাবের জল দিয়ে সকাল 11টা থেকেই শুরু বনভোজন শুরু। রাজ্যপাল এলেন সাড়ে 12টার পরে। ফ্ল্যাগ হাউজের মাঠে বসল নাচগানের আসর। প্রায় আধঘণ্টা ইজেডসিসি-র তরফে নৃত্য পরিবেশন হল। খুশি হয়ে রাজ্যপাল শিল্পীদের 10 হাজার টাকার মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ঘোষণা করলেন। তারপরে খাওয়া দাওয়া।
কলকাতার বালিগঞ্জের রেস্টুরেন্ট থেকে এল চিকেন বিরিয়ানি ও ফিরনি। মাঠেই হল খাওয়ার আয়োজন। রাজ্যপালের জন্য নিরামিষ রান্না হল ফ্ল্যাগ হাউজের ভিতরে। যদিও রাজ্যপাল খেলেন সকল সাংবাদিক বন্ধুদের মাঝে বসেই। খাওয়ার টেবিলেই রাজ্য-দেশ-সাহিত্য-যুব সমাজ নিয়ে আলোচনা হয়ে গেল একচোট।
আরও পড়ুন: