ETV Bharat / state

বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের - Governor Ananda Bose

Governor Ananda Bose advise on flood issue: বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাজ্যকে বিশেষ পরামর্শ রাজ্যপাল আনন্দ বোসের ৷ কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার উল্লেখও করা হয়েছে রাজভবনের তরফে।

Governor Ananda Bose
রাজ্যকে পরামর্শ রাজ্যপালের (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 23, 2024, 8:37 PM IST

কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যা কবলিত। কয়েক হাজার মানুষ ঘর ছাড়া। ক্ষয়ক্ষতিও বিপুল। সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিকল্পনা ও অর্থ বরাদ্দ করেছে তা বাস্তবায়িত করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, "কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) গুরুতর বিপর্যয়ের জন্য সবরকম সহায়তা প্রদান করে। সেই তহবিলগুলি কার্যকরভাবে ব্যবহার করে এবং কৌশলগত ব্যবস্থাপনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বন্যা ব্যবস্থাপনাকে জোরদার করতে পারে। তার জনসাধারণের জন্য আরও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।"

কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার উল্লেখও করা হয়েছে রাজভবনের পোস্টে। সেখানে বলা হয়েছে, "ভারত সরকার জীবনের এবং সম্পত্তির উপর বন্যার প্রভাব কমানোর এবং সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি বন্যা ব্যবস্থাপনা উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির জন্য বন্যার আগে, বন্যার সময় এবং বন্যার পরে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে ৷ গঙ্গা এবং তার উপনদীগুলির পাশ দিয়ে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা আবশ্যক ৷ বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নদীর জল উপচে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা প্রয়োজনীয়। হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর 24 পরগনা জেলাগুলিতে নদীর বাঁধ শক্তিশালী করা উচিৎ, যাতে ক্ষতি আটকানো যায় ৷ বন্যার ঝুঁকি কমাতে এবং জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দামোদরের মতো নদীগুলির চ্যানেলাইজেশন করাও উচিত।"

রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, রাজ্য দুর্যোগ তহবিলের জন্য 80 শতাংশ এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য 32,031 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য 54,770 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যের দমকল পরিষেবার উন্নতির জন্য 5000 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা শহর ও গ্রামাঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।


তাঁর দাবি, বিশেষ করে মালদার মতো জেলাগুলিতে গঙ্গার ভাঙন-প্রবণ তীরগুলির জন্য 1,000 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, "রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল বিপর্যয়ের সময় তাৎক্ষণিক ত্রাণ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই তহবিলগুলি রাজ্য সরকারগুলিকে বিপর্যয় পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ শ্রেণির রাজ্যগুলির জন্য এসডিআরএফ বরাদ্দের 75 শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিশেষ শ্রেণীর রাজ্যগুলির জন্য 90 শতাংশ অবদান রাখে।"

কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যা কবলিত। কয়েক হাজার মানুষ ঘর ছাড়া। ক্ষয়ক্ষতিও বিপুল। সাধারণ মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিকল্পনা ও অর্থ বরাদ্দ করেছে তা বাস্তবায়িত করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, "কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) গুরুতর বিপর্যয়ের জন্য সবরকম সহায়তা প্রদান করে। সেই তহবিলগুলি কার্যকরভাবে ব্যবহার করে এবং কৌশলগত ব্যবস্থাপনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বন্যা ব্যবস্থাপনাকে জোরদার করতে পারে। তার জনসাধারণের জন্য আরও স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।"

কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার উল্লেখও করা হয়েছে রাজভবনের পোস্টে। সেখানে বলা হয়েছে, "ভারত সরকার জীবনের এবং সম্পত্তির উপর বন্যার প্রভাব কমানোর এবং সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি বন্যা ব্যবস্থাপনা উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির জন্য বন্যার আগে, বন্যার সময় এবং বন্যার পরে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে ৷ গঙ্গা এবং তার উপনদীগুলির পাশ দিয়ে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করা আবশ্যক ৷ বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নদীর জল উপচে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা প্রয়োজনীয়। হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর 24 পরগনা জেলাগুলিতে নদীর বাঁধ শক্তিশালী করা উচিৎ, যাতে ক্ষতি আটকানো যায় ৷ বন্যার ঝুঁকি কমাতে এবং জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দামোদরের মতো নদীগুলির চ্যানেলাইজেশন করাও উচিত।"

রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, রাজ্য দুর্যোগ তহবিলের জন্য 80 শতাংশ এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রশমন তহবিলের জন্য 32,031 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের জন্য 54,770 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যের দমকল পরিষেবার উন্নতির জন্য 5000 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা শহর ও গ্রামাঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।


তাঁর দাবি, বিশেষ করে মালদার মতো জেলাগুলিতে গঙ্গার ভাঙন-প্রবণ তীরগুলির জন্য 1,000 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, "রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল বিপর্যয়ের সময় তাৎক্ষণিক ত্রাণ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই তহবিলগুলি রাজ্য সরকারগুলিকে বিপর্যয় পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ শ্রেণির রাজ্যগুলির জন্য এসডিআরএফ বরাদ্দের 75 শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিশেষ শ্রেণীর রাজ্যগুলির জন্য 90 শতাংশ অবদান রাখে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.