সন্দেশখালি, 12 ফেব্রুয়ারি: "সন্দেশখালির পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে মহিলা এবং শিশুদের ওপর যে অত্যাচার নামিয়ে আনা হয়েছে তা ভাবাই যায় না। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভুমিতে এই ধরণের ঘটনা অকল্পনীয়। রাজ্য সরকারের উচিত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ৷" সন্দেশখালি পরিদর্শনের পর সুন্দরবন পর্যটন নিবাসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এক্ষেত্রে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য তিনি যথাযথভাবে পালন করবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সন্দেশখালির ঘটনা মানব সভ্যতায় সরাসরি আঘাতে বলেও মনে করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সন্দেশখালির বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলেন, "আমার ক্ষমতার মধ্যে যা যা করা দরকার তা সবই করব। প্রয়োজনে রিপোর্টও পাঠাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।" এদিকে, সন্দেশখালির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এদিন রাজ্য সরকারের কাছে ফের আবেদন করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথায়, "সন্দেশখালির মহিলাদের আতঙ্ক কাটাতে রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে সেখানকার নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করতে পারেন তা নিশ্চিত করা উচিত।"
সোমবার ধামাখালি ফেরিঘাট হয়ে লঞ্চে সন্দেশখালির ত্রিমোহনী বাজারে এসে উপস্থিত হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । সেখানে আগে থেকেই গ্রামের বেশ কিছু মহিলা জড়ো হয়েছিলেন ৷ তিনি পৌঁছতেই তাঁর দিকে ফুল ছিটিয়ে এবং উলুধ্বনি দিয়ে অভ্যর্থনা জানান গ্রামের মহিলারা ৷ এমনকী সিভি আনন্দ বোসের হাতে রাখি পড়িয়ে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধও করেছেন কেউ কেউ।
এরপর বাজারের রাস্তাতেই বসে পড়েন গ্রামের মহিলারা ৷ শাহজাহান-শিবু-উত্তমের একের পর এক নির্যাতন ও জুলুমবাজির যন্ত্রণার কাহিনি তুলে ধরেন রাজ্যপালের কাছে। এখনও সন্দেশখালির 'ত্রাস' শাহজাহান এবং শিবু হাজরা গ্রেফতার না-হওয়ায় গ্রামের মহিলাদের যে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে, তাও উঠে এসেছে তাঁদের অভিযোগে ৷
আরও পড়ুন
'শাহজাহান-শিবু গ্রেফতার না হলে অত্যাচার আরও বাড়বে', রাজ্যপালের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ মহিলাদের
মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাচ্ছে তৃণমূল, প্রতিনিধি দলে পার্থ-নারায়ণ
কেন সায়েন্স সিটিতেই শুভেন্দু অধিকারীদের আটকে দেওয়া হল, কী বলছে কলকাতা পুলিশ?