কলকাতা, 3 এপ্রিল: বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এখনও কাটেনি জট ৷ এবার সংঘাত আরও জোরালো রাজ্য-রাজ্যপালের। উপাচার্য নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজভবন। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের 'বেআইনি' কার্যকালাপ নিয়ে শীর্ষ আদালতকে তথ্য পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস ।
এই প্রসঙ্গেই বুধবার রাজভবন সূত্রের দাবি, "রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রধান হিসাবে চ্যান্সেলরের ভূমিকায় রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ সেই সমস্ত প্রশ্নের অবসান ঘটাতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ রাজ্যপাল।" ইতিমধ্যেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রজত কিশোর দে অপসারণ করা হয়েছে ওয়েবকুপার আন্দোলনের জেরে ৷ তারপরই রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর সংশ্লিষ্ট উপাচার্যকে পুর্ননিয়োগ করে ৷ তাঁকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরই রাজ্যপালের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞমহল ।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালত ও কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক আদেশ ও পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে । রাজভবন সূত্রের দাবি," সুপ্রিম কোর্ট গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে ৷ রাজ্য সরকারের ভিসি নিয়োগ বা পুর্ননিয়োগ করার কোনও ক্ষমতা নেই। শুধুমাত্র চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ছিল উপাচার্য নিয়োগ, পুর্ননিয়োগ বা অস্থায়ীভাবে নিয়োগ বা অপসারণ করার।" অথচ, রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরকে বেআইনি নির্দেশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে । একারণেই রাজ্যপাল উপাচার্যদের সতর্ক করেছেন । যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী । একপ্রকার ছাত্র সমাজের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিরুদ্ধ কাজ ।"
তাই, কোনও উপাচার্যের নিয়োগ রাজ্যপাল প্রত্যাহার করলে সেই আদেশ মেনে চলতে হবে ৷ এমনকী, যে সমস্ত উপাচার্য রাজ্যের দ্বারা নিয়োগ হয়েও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । আর যে সকল উপাচার্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের নিয়োগ পেয়েছেন, অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে রাজভবন সূত্রে ৷
আরও পড়ুন: