কলকাতা, 20 এপ্রিল: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল টানাপোড়েনের মধ্যে ফের বৈঠক রাজভবনে। শনিবার সকাল 11টায় যাদবপুর-সহ রাজ্যের 6-7'f বিশ্ববিদ্যালয়ের পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। মূলত, রাজ্যের 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েই তিনি এই বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর। যদিও ইতিমধ্যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তিনি। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিৰ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ করতেই এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। খুব শীঘ্রই এই উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা কাটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গতবৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অ্যাটর্নি জেনেরাল আর ভেঙ্কাটরমনি আচার্যের সঙ্গে এই উপাচার নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন। কারণ, উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতের নির্দেশে এর আগেও তিনি রাজ্যে এসেছিলেন। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর এবং রাজভবনের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঠিক কোন কোন জায়গায় দু-পক্ষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, সামগ্রিকভাবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কী অবস্থা, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেন। গত 16 এপ্রিল আদালতে মামলার শুনানির পরও জটিলতা কাটেনি। রাজভবন এবং রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের দাবি দু'রকম। রাজ্য সরকারের দাবি, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তাদের সুপারিশ করা নামের তালিকাতেই রাজভবনকে সিলমোহর দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজভবনের বক্তব্য, চ্যান্সেলর সরকারের মনোনীত ব্যক্তিদের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেবেন বলে সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্দেশ নেই। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে উপাচার্য নিয়োগে আচার্যই শেষ কথা ৷
রাজভবনের আরও দাবি, কয়েক সপ্তাহ আগে সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিয়েছিল, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমস্যাগুলি সমাধান করার চেষ্টা করবেন। সেই অনুসারে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল আনন্দ বোস দু'বার দেখা করেন। পরবর্তীকালে, সরকার সমস্ত রাজ্য-সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করার জন্য 31টি নামের একটি তালিকা দিয়েছে। রাজ্যপাল সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগের জন্য তালিকা থেকে ছ'টি নাম বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবিত অন্য নামগুলো আচার্য প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরও পড়ুন: