কলকাতা, 12 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি খারিজ করে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । এই আইন নিয়ে বিস্তারিত জেনে ও বুঝে তারপর এই নিয়ে মন্তব্য করার জন্য তাঁর সাংবিধানিক সহকর্মীকে পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল ।
দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর হওয়ার পর আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাবড়ার জনসভা থেকে এই আইনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ৷ বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি । তিনি বলেন, সিএএ পোর্টালে আবেদন জানালেই হারাতে হবে নাগরিকত্বের অধিকার ৷
এ বিষয়েই আজ রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "সিএএ-এর নিয়ম বিধির বিষয়ে মানুষ জানে । এটার যে গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে আগামী দিনে তা বুঝতে পারবেন । এটা দেশ ভাগ করার নয়, জোড়ার আইন । আমি আমার সাংবিধানিক সহকর্মীকে অনুরোধ করব, আগে এই আইনের বিষয়ে জানুন । বুঝুন । তারপর মন্তব্য করুন ।"
গতকাল সিএএ লাগু হওয়ার পর রাতে রাজভবনে প্রবেশের মুখে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল সিএএ-এর প্রশংসা করেছিলেন ৷ আইন মেনে নতুন আইনের বাস্তবায়ন নিয়েও গুড গভর্নেন্সের কথাও বলেছিলেন তিনি ।
রাজ্যপাল বলেছিলেন, "আমি বাংলার মানুষ এবং রাজ্যের জন্য রাজ্যপাল । অন্য রাজ্যের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না ।" 2019 সালের 12 ডিসেম্বরে পাশ হওয়া আইন 2024 সালের 11 মার্চ লাগু হওয়া নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "কয়েক বছর আগে সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ভারতের সংসদে পাশ হয়েছিল । এখন কী ঘটছে ? সেই আইন তার যৌক্তিকতা মেনে তার যে নিয়ম-নীতি রয়েছে তার বাস্তবায়ন হচ্ছে । এটার মধ্যে আমি আইনের বাস্তবতা যেমন দেখছি তেমনই গুড গভর্নেন্সেরও লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: