কলকাতা, 30 জুলাই: বছরে 100 দিন রাজ্যের স্কুলগুলি সুস্বাদু খাবার তুলে দেবে ছাত্রছাত্রীদের মুখে । বাজেট পেশের পর কেন্দ্র থেকে এমন নির্দেশ এল রাজ্যের কাছে ৷ সেই নির্দেশ মেনে শুরু হবে এই 'তিথি ভোজন' প্রকল্প ৷ এতদিন এই প্রকল্প চালু ছিল গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে। এবার সেই প্রকল্প চালু করল পশ্চিমবঙ্গও। এই তিথি ভোজনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে ৷ স্বাস্থ্যকর সবজি, মরশুমি ফল এবং বিশুদ্ধ জল দেওয়া হবে এই ভোজনে।
যদিও এই বিষয়ে অধিকাংশদের মত, মিড-ডে মিলের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। ওই অর্থে সুস্বাদু বা স্বাস্থ্যকর শাক-সবজি কেনা সম্ভব হয় না ৷ এই বিষয়ে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, "ছাত্র পিছু যে অর্থ বরাদ্দ থাকে তাতে সাপ্তাহিক তালিকা মেনে খাবার বরাদ্দ করতে বিদ্যালয়গুলির নাভিশ্বাস ওঠে। সেখানে বিশেষ 'তিথি ভোজন' প্রকল্প কেউ যদি দায়িত্ব নিতে রাজি না-হয়, সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই বাড়তি ব্যয়ের ভার বহন করতে হবে ?"
যদিও এই বিষয়ে পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, "মিড-ডে-মিলের জন্যই বহু ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসে ৷ কিন্তু মিড-ডে-মিল যদি সকলের জন্য করা যায়, তাহলেই ভালো। কারণ, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা মিড-ডে-মিল পায় না ৷ ফলে এই মিড-ডে-মিলের মধ্যে যদি সবাইকে নিয়ে আসা যায় তাহলে ভালো ৷"
মিড-ডে-মিলের জন্য এই বছর বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে 12467.39 কোটি টাকা। বিশেষ এই তিথি ভোজনের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে অতিরিক্ত কিছু অর্থ। গত বছর গরমে রাজ্য সরকারও এই ধরনের প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছিল । ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টির কথা ভেবে স্বাস্থ্যকর খাবার, সঙ্গে 5 রকমের ফল দেওয়া হবে জানিয়েছিল সমগ্র শিক্ষা মিশন। কিন্তু সেই সময়ও অর্থ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল । এই অর্থে স্বাস্থ্যকর খবর দেওয়া সম্ভব হয় না বলেই জানিয়েছিল শিক্ষা মহল। সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এবারও ৷