শিলিগুড়ি, 26 এপ্রিল: সকাল সকাল ভোট দিলেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র গৌতম দেব ৷ দলের জেতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী ৷ এ দিন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষকে একহাত নেন গৌতম ৷ এ দিন বিজেপি নেতাদের থেকে নগদ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি ৷ অপরদিকে, শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শংকর ঘোষ আজ সস্ত্রীক ভোট দিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, এবার পাঁচ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা ৷
শুক্রবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে দার্জিলিং লোকসভা আসনে ৷ সকাল থেকেই বুথে বুথে ধরা পড়েছে লম্বা লাইন ৷ তীব্র গরমের কারণে সকাল সকালই ভোটদানে উৎসাহী ভোটাররা ৷ এ দিন সকালে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 17 নম্বর ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি গার্লস স্কুলের 168 নম্বর বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব । ভোটদানের পর আঙুলে ভোটের কালি দেখিয়ে সাংবাদিকদের সামনে দলের জেতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে জানান গৌতম দেব ৷ পাশাপাশি এ দিন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
এ দিন গৌতম দেব বলেন, "বিজেপিতে গিয়ে মানসিক অবক্ষয় হয়েছে গৌতম দেবের । ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে সে রকম যদি হতে থাকে, তবে আমাদের কর্মীরাও রয়েছেন । প্রতিরোধ হবে ।" এ দিন বিজেপি নেতাদের থেকে উদ্ধার হওয়া নগদের বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র । তাঁর অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে টাকা এনে সেই টাকায় ভোট কেনার চেষ্টা করেছে বিজেপি ।
যদিও এ সব কথায় গুরুত্ব না-দিয়ে দলের জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ ৷ আজ সকালে তিনি সস্ত্রীক ভোট দেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের 24 নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ পাঠশালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের 237 নম্বর বুথে । এবারের নির্বাচনেও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা পাঁচ লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হবে বলে দাবি তাঁর ৷ পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আটটি আসনেই বিজেপির জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি ৷
দার্জিলিং লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন 15 জন প্রার্থী ৷ যার মধ্যে নয়জন প্রার্থী নির্দল হয়ে লড়ছেন ৷ কিন্তু এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দলের প্রার্থী এই আসনের নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না । কারণ তাঁদের দু'জনেরই ভোট রয়েছে রাজধানী দিল্লিতে । গতবারের বিজেপি সাংসদ তথা এবারেও ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা ও কংগ্রেস প্রার্থী মুনিষ তামাং দু'জনেরই ভোট দিল্লিতে । ফলে নির্বাচনের সময় পাহাড়ে থাকলেও তাঁরা ভোট দিতে অক্ষম । আর তাদের এই বহিরাগত ইস্যুকেই প্রচারে হাতিয়ার করে এসেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য প্রার্থীরা । লড়াইটা তৈরি করা হয়েছে ভূমিপুত্র বনাম বহিরাগত ইস্যুর উপর ।
আরও পড়ুন: