নদিয়া, 29 মার্চ: বিএসএফ জালে সোনা চোরাচালান চক্র। উদ্ধার হল 20টি সোনার বিস্কুট ও 8টি ইট ৷ যার ওজন 7 কেজি ৷ উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের মূল্য 4.70 কোটি টাকা ৷ বৃহস্পতিবার রাতে নদিয়ার গেদে রেল স্টেশেন থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ সোনা ৷ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ও 3 মহিলা পাচারকারী গ্রেফতার হয়েছে । ধৃতরা হল অপূর্ণা বিশ্বাস, আশিমা মুহুরী, মিতালী পাল ও সৌমেন বিশ্বাস ৷ সকলেই নদিয়ার গেদে মাঝের পোদা এলাকার বাসিন্দা ৷ গ্রেফতার আর এক ব্যবসায়ী সৌমেন বিশ্বাস নদিয়ার চাঁদপুর সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, জওয়ানদের কাছে আগে থেকে খবর ছিল এই এলাকা দিয়ে সোনা পাচার হতে পারে ৷ সেই মতোই তৎপর ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ৷ স্টেশনে সন্দেহজনক কয়েকজন মহিলাকে দেখে জওয়ানদের সন্দেহ হয় ৷ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ৷ কথাবার্তায় অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করে ৷ ধৃতদের তল্লাশি করে 20টি সোনার বিস্কুট ও 8টি ইট উদ্ধার হয়েছে ৷ অনুমান এই সোনা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করে কলকাতায় আনার পরিকল্পনা ছিল চোরাকারবারি চক্রের। সেই মতোই ওই 3 মহিলা গেদে- শিয়ালদা লোকালে উঠে গিয়েছিল ৷ সেই সময়েই তাদেরকে গ্রেফতার করে বিএসএফ ৷ উদ্ধার করা সোনার মোট ওজন 7 কেজি ৷ যার আনুমানিক মূল্য 4 কোটি 70 লক্ষ টাকা ৷
পুলিশি জেরায় চোরাকারবারীরা জানায়, তারা সকলে একই গ্রামের ৷ এক অজ্ঞাত ব্যক্তির জন্য কাজ করত ৷ ঘটনা প্রসঙ্গেই অভিযুক্ত মহিলা পাচারকারী জানান, যে সোনাগুলি ময়ূরহাট রেলওয়ে স্টেশনে থাকা সৌমেন বিশ্বাসের কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা ছিল । এই কাজের জন্য তারা প্রত্যেকে 1 হাজার টাকা পেতেন। কিন্তু সোনা নিয়ে ময়ূরহাট রেলস্টেশনে পৌঁছলে বিএসএফ সোনা-সহ তাদের আটক করে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলকাতা জোনাল ইউনিটের রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: