বহরমপুর, 13 এপ্রিল: বহরমপুর শহরে অধীরের প্রচারে বাধা দিলেন একদল স্থানীয় যুবক ৷ তাঁরা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি কংগ্রেসের৷ নিজের শহরে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরী। অধীরকে দেখে গো-ব্যাক স্লোগান তোলেন তাঁরা। অধীরের গাড়ির সামনে গিয়ে শুয়েও পড়েন তাঁরা। প্রচারে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় বহরমপুরে। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, মদ্যপ যুবকদের লেলিয়ে দিয়ে প্রচারে বাধা সৃষ্টি করেছে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনেও একই কায়দায় তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
এদিন সকালে বহরমপুরের গান্ধি কলোনি এলাকায় প্রচারে যান অধীর চৌধুরী । গান্ধি কলোনি থেকে বিটি কলেজ পর্যন্ত পদযাত্রা করে প্রচারের কর্মসূচি ছিল তাঁর । কিন্তু অধীর চৌধুরীর গাড়ি গান্ধি কলোনি পৌঁছতেই কিছু যুবক তাঁকে বাধা দেন । দেওয়া হয় গোব্যাক স্লোগানও । এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ সুপারকে ফোন করেন অধীর ।
শনিবার বহরমপুরে যা ঘটে গেল সাম্প্রতিক অতীতে এই ঘটনা নজিরবিহীন ! নিজের গড়ে দাঁড়িয়েই অধীর চৌধুরীকে বাধা-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল । শুনতে হল গোব্যাক স্লোগানও । গান্ধি কলোনিতে গিয়ে একদল যুবকের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হঠতে হয় অধীর চৌধুরীক । অধীর চৌধুরীর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি কোনওরকমে সামাল দেয় । অধীরের সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি শীলাদিত্য হালদার। তাঁকেও উত্তেজিত যুবকদের সামাল দিয়ে দিতে দেখা যায়।
কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করেছে । যুবকদের মদ খাইয়ে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে । অধীর চৌধুরী বলেন, "কিছু যুবককে মদ খাইয়ে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। পৌরসভা ভোটে এভাবেই আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল ।" এদিকে, গো-ব্যাক স্লোগান শুনে অধীর চৌধুরী গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে গিয়ে এক যুবককে মারধর করেন বলে পালটা অভিযোগ তোলা হয়েছে । যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ।
আরও পড়ুন: