পাণ্ডুয়া, 21 ফ্রেব্রুরারি: হুগলির পাণ্ডুয়ায় প্রেমিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ৷ খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মহানাদ হাইস্কুলের কোয়ার্টারের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর একুশের সৌমি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেহ। প্রেমিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রেমিক। যুবককে প্রথমে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে এবং পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যুবতীর মুখে ও মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই সৌমিকে খুন হতে হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
পাণ্ডুয়া পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, সৌমির মা শুক্তিশুভ্রা বন্দ্যোপাধ্যায় মহানাদ হাইস্কুলেরই শিক্ষিকা। মায়ের কাজের সূত্রে, ছোট থেকেই মা ও মেয়ের স্কুলের কোয়ার্টারেই বসবাস। সৌমি স্থানীয় এক যুবক সৈকত সরকারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত ছয় মাস ধরে সেই সম্পর্কে ভাটা পড়েছিল। বারবার সেই সম্পর্ক দু'জনেই ঠিক করার চেষ্টা করলেও নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটছিল না কিছুতেই। সৌমির বাড়িতে যাতায়াত ছিল সৈকতের।
সূত্রের খবর, গতকালও যুবক তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। যদিও ঘটনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে নারাজ তরুণীর মা। পুলিশের অনুমান, রাতে কোয়ার্টারের পাশে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে খুন করা হয়েছে। তবে প্রেমিকার মৃত্যুর পরই বুধবার সকালে সৈকত আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ও তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৷ হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার কল্যাণ সরকার বলেন, "স্থানীয়দের থেকে জানতে পারলাম যুবকের সঙ্গে যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রাতে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না মা। পরে স্কুল কোয়ার্টারের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া যায়। সৈকত বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে ভরতি ৷ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মা। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।"
আরও পড়ুন: