ETV Bharat / state

ঠাকুর দেখে দেরি করে বাড়ি ফেরায় বকা, মাকে আহত করে আত্মঘাতী যুবতী !

জলপাইগুড়িতে এক যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ৷ বাড়িতে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তাঁকে ৷ অভিযোগ, যুবতী তাঁর মা-কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছিলেন ৷

UNNATURAL DEATH CASE
প্রতীকী ছবি ৷ (ইটিভি ভারত গ্রাফিক্স)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 11, 2024, 4:59 PM IST

জলপাইগুড়ি, 11 অক্টোবর: ঠাকুর দেখে দেরি করে বাড়ি ফেরায় বকাবকি করেছিলেন মা ৷ আর তার জেরে মাকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবতীর বিরুদ্ধে ৷ পরে শৌচালয় থেকে ওই যুবতীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় ৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি পুরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডে ৷

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দাবি অনুযায়ী, মৃত যুবতী তুহিনা রায় কলকাতায় থেকে পড়াশোনা করতেন ৷ পুজোর ছুটিতে জলপাইগুড়ির বাড়িতে এসেছিলেন ৷ দুর্গাপুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরতে দেরি হয় ৷ আর সেই নিয়ে মা রিনা রায় তাঁকে বকাবকি করেন ৷ যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ৷ মেয়েকে চড়ও মারেন তিনি ৷ এরপরেই দু’জনের মধ্যে একপ্রকার হাতাহাতি হয় ৷ অভিযোগ, তখনই ওই যুবতী একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাকে আঘাত করেন ৷

ঘটনায় আহত রিনা রায়কে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য ৷ অন্যদিকে, সেই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শৌচালয় থেকে চিৎকার ও কালো ধোঁয়া বেরতে দেখেন ৷ শৌচালয়ের দরজা ভেঙে ভিতরের দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন সকলে ৷ তাঁরা দেখেন যে শৌচালয়ের ভিতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন তুহিনা রায় ৷ তাঁকেও দ্রুত উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তুহিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

এ নিয়ে 24 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি জানিয়েছেন, মাকে আহত করার পর বাড়ির সকলের নজর এড়িয়ে তুহিনা নিজেকে শৌচালয়ে বন্ধ করে নেন ৷ ভিতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন তিনি ৷ বাড়ির লোকজন সেটি বোঝার আগেই শরীরে সর্বত্র আগুন ধরে যায় ৷ কাউন্সিলর আরও বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ৷ কেন এমন হল, তা তদন্ত সাপেক্ষ ৷ তবে, মা মেয়েকে শাসন করবে এটাই স্বাভাবিক ৷ কিন্তু, আজকালকার ছেলেমেয়েরা এত অসহিষ্ণু হলে মুশকিল ৷"

যদিও, পুলিশের তরফে তুহিনা রায়ের মৃত্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ ৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷

(আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয় ৷ যদি আপনার মধ্যে কখনও আত্মহত্যার চিন্তা মাথাচাড়া দেয় বা আপনার কোনও বন্ধু বা পরিচিত এই সমস্যায় জর্জরিত হন, তাহলে ভেঙে পড়বেন না। জানবেন, এমন কেউ আছে যে আপনার যন্ত্রণা, আপনার হতাশা ভাগ করে নিতে সদা-প্রস্তুত। আপনার পাশে দাঁড়াতে তৎপর। সাহায্য পেতে দিনের যে কোনও সময়ে 044-24640050 এই নম্বরে কল করুন স্নেহা ফাউন্ডেশনে। টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সের হেল্পলাইন নম্বরেও (9152987821) কল করতে পারেন। এখানে ফোন করতে হবে সোমবার থেকে শনিবার সকাল 8টা থেকে রাত 10টার মধ্যে।)

জলপাইগুড়ি, 11 অক্টোবর: ঠাকুর দেখে দেরি করে বাড়ি ফেরায় বকাবকি করেছিলেন মা ৷ আর তার জেরে মাকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবতীর বিরুদ্ধে ৷ পরে শৌচালয় থেকে ওই যুবতীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় ৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি পুরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডে ৷

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দাবি অনুযায়ী, মৃত যুবতী তুহিনা রায় কলকাতায় থেকে পড়াশোনা করতেন ৷ পুজোর ছুটিতে জলপাইগুড়ির বাড়িতে এসেছিলেন ৷ দুর্গাপুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরতে দেরি হয় ৷ আর সেই নিয়ে মা রিনা রায় তাঁকে বকাবকি করেন ৷ যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ৷ মেয়েকে চড়ও মারেন তিনি ৷ এরপরেই দু’জনের মধ্যে একপ্রকার হাতাহাতি হয় ৷ অভিযোগ, তখনই ওই যুবতী একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাকে আঘাত করেন ৷

ঘটনায় আহত রিনা রায়কে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য ৷ অন্যদিকে, সেই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শৌচালয় থেকে চিৎকার ও কালো ধোঁয়া বেরতে দেখেন ৷ শৌচালয়ের দরজা ভেঙে ভিতরের দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন সকলে ৷ তাঁরা দেখেন যে শৌচালয়ের ভিতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন তুহিনা রায় ৷ তাঁকেও দ্রুত উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তুহিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

এ নিয়ে 24 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি জানিয়েছেন, মাকে আহত করার পর বাড়ির সকলের নজর এড়িয়ে তুহিনা নিজেকে শৌচালয়ে বন্ধ করে নেন ৷ ভিতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন তিনি ৷ বাড়ির লোকজন সেটি বোঝার আগেই শরীরে সর্বত্র আগুন ধরে যায় ৷ কাউন্সিলর আরও বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ৷ কেন এমন হল, তা তদন্ত সাপেক্ষ ৷ তবে, মা মেয়েকে শাসন করবে এটাই স্বাভাবিক ৷ কিন্তু, আজকালকার ছেলেমেয়েরা এত অসহিষ্ণু হলে মুশকিল ৷"

যদিও, পুলিশের তরফে তুহিনা রায়ের মৃত্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ ৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷

(আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয় ৷ যদি আপনার মধ্যে কখনও আত্মহত্যার চিন্তা মাথাচাড়া দেয় বা আপনার কোনও বন্ধু বা পরিচিত এই সমস্যায় জর্জরিত হন, তাহলে ভেঙে পড়বেন না। জানবেন, এমন কেউ আছে যে আপনার যন্ত্রণা, আপনার হতাশা ভাগ করে নিতে সদা-প্রস্তুত। আপনার পাশে দাঁড়াতে তৎপর। সাহায্য পেতে দিনের যে কোনও সময়ে 044-24640050 এই নম্বরে কল করুন স্নেহা ফাউন্ডেশনে। টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সের হেল্পলাইন নম্বরেও (9152987821) কল করতে পারেন। এখানে ফোন করতে হবে সোমবার থেকে শনিবার সকাল 8টা থেকে রাত 10টার মধ্যে।)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.