বসিরহাট, 6 অগস্ট: ওপার বাংলার অস্থিরতার মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে ধীরগতিতে চালু হল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর ঘোজাডাঙা । আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চালু হলেও এখনও যেন আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের । সোমবার হাসিনা সরকারের পতনের পর তৈরি হওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে সীমান্তের সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার ফের কিছুটা ছন্দে ফেরার চেষ্টা দেখা গেল ভারত-বাংলাদেশ লাগোয়া ঘোজাডাঙা সীমান্তে। মঙ্গলবার বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে প্রবেশ করেন বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক । তবে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা নাগরিকদের চোখে মুখে যেন এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ।
পড়শি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা । জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট । ফলে সোমবার থেকে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল। পণ্যবোঝাই হাজার হাজার ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ে সীমান্তে । তবে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ফের ধীরে ধীরে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের ছবি ধরা পড়েছে । কিন্তু সোমবারের হিংসার ঘটনার পর ভারত থেকে বাংলাদেশ যাওয়া পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের এখন একটাই আতঙ্ক। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে কোনওভাবে তাদের ট্রাকগুলির উপর লুটপাট চালানো হবে না তো ? আর তা নিয়েই এখন রীতিমতো আতঙ্কে পণ্য পরিবহণকারী ট্রাক চালকেরা ।
এই বিষয়ে আলমগীর শেখ নামে এক ট্রাক চালক বলেন, "সংগঠনের তরফে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে । ওপারে ভোমরা-তে যাব আমরা । মাল খালাস করে আবার এপারে ফিরে আসব । তবে ভয় তো আছেই । ওখানে যা অশান্তি হচ্ছে, সেটা ভেবেই ভয় লাগছে ।"
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে যেসব পর্যটকরা ভারতে আসেন তাঁদের চোখে মুখেও এদিন যথারীতি আতঙ্ক ধরা পড়েছে । অনেকেই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এদিন বাধ্য হয়েই আতঙ্ক নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরলেন । তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চালানো হলেও সীমান্তে এখনও রয়েছে কড়া নজরদারি ।