ETV Bharat / state

গরম চামচ দিয়ে নাবালিকাকে বারবার ছ্যাঁকা! ‘প্রতিশোধে’ অভিযুক্ত কাকিমা - MALDA MINOR ABUSE

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 9, 2024, 7:43 PM IST

Updated : Jul 9, 2024, 7:54 PM IST

Abuse of minor in Malda: 10 বছরের নাবালিকাকে ছ্যাঁকা দিয়ে হাত পোড়ানোর অভিযোগ কাকিমার বিরুদ্ধে ৷ প্রতিশোধ নিতেই তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ নাবালিকার বাবা-মায়ের ৷

Abuse of minor in Malda
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)

মালদা, 9 জুলাই: ভাসুরের মেয়েকে গরম চামচ দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকিমার বিরুদ্ধে ৷ তাঁদের 10 বছরের মেয়ের উপর প্রতিশোধ নিতেই এমন কাণ্ড বলে অভিযোগ নির্যাতিত নাবালিকার মা-বাবার ৷ কয়েক দিন আগে মালদা শহরের 25 নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধিপার্ক এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ।

মালদায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

জানা গিয়েছে, খেলতে খেলতে কাকিমার সন্তানের গায়ে ধূপকাঠির ছ্যাঁকা লেগেছিল কোনওভাবে ৷ সেই অভিযোগেই নাকি কাকিমা আক্রমণ করেন ৷ এমনকী, মেয়েকে বাঁচাতে এসে নাকি আক্রান্ত হন নির্যাতিত নাবালিকার মাও। ঘটনায় পরিবারের তরফে অভিযুক্ত কাকিমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ যদিও অভিযোগ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ দোষী কাকিমাকে গ্রেফতারির দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।

নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, গত 6 জুলাই তাঁর 10 বছরের মেয়ে এলাকার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধূলো করছিল। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁর জা বাড়ির ভেতরে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। হঠাৎ গরম করা চামচ দিয়ে তাঁর মেয়ের শরীরের একাধিক এলাকায় ছ্যাঁকা দিতে থাকেন। মেয়ের চিৎকার শুনে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এরপর মেয়েকে মালদা মেডিক্যাল নিয়ে যান তাঁরা। দোষীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশে অভিযোগও জানানো হয়েছে ৷

প্রতিবেশী মাম্পি দাস বলেন, "শুনতে পেয়েছি, খেলতে খেলতে অভিযুক্ত মহিলার সন্তানের গায়ে ধূপকাঠির ছ্যাঁকা লেগেছিল। তার ‘প্রতিশোধ’ নিতে ওই মহিলা নিজের জায়ের মেয়েকে হাতা বা খুন্তির মতো কিছু একটা দিয়ে গরম ছ্যাঁকা দেয়। নির্যাতিতার মা সেই সময় না থাকলে ওই শিশুর কী হত তা ভাবতে পারছি না। মাঝেমধ্যেই আমাদের কাছে আসে। আমরা ওই মহিলার শাস্তি চাই।"

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা পিউ অধিকারী বলেন, "রাস্তায় খেলতে খেলতে যদি কোনও শিশু একে অপরকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়, তবে কি ওই বাচ্চার মা অপর বাচ্চাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেবে নাকি পুঁতে দেবে? এধরণের ঘটনা চলতে পারে না। তার উপর নিজের জায়ের মেয়ের সঙ্গে এধরণের ঘটনা যিনি ঘটাতে পারেন তাঁদের আমরা এলাকায় থাকতে দেব না। পুলিশ এসে কেন ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল না? আমরা ওই মহিলার শাস্তি চাই।"

মালদা, 9 জুলাই: ভাসুরের মেয়েকে গরম চামচ দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাকিমার বিরুদ্ধে ৷ তাঁদের 10 বছরের মেয়ের উপর প্রতিশোধ নিতেই এমন কাণ্ড বলে অভিযোগ নির্যাতিত নাবালিকার মা-বাবার ৷ কয়েক দিন আগে মালদা শহরের 25 নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধিপার্ক এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ।

মালদায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

জানা গিয়েছে, খেলতে খেলতে কাকিমার সন্তানের গায়ে ধূপকাঠির ছ্যাঁকা লেগেছিল কোনওভাবে ৷ সেই অভিযোগেই নাকি কাকিমা আক্রমণ করেন ৷ এমনকী, মেয়েকে বাঁচাতে এসে নাকি আক্রান্ত হন নির্যাতিত নাবালিকার মাও। ঘটনায় পরিবারের তরফে অভিযুক্ত কাকিমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ যদিও অভিযোগ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ দোষী কাকিমাকে গ্রেফতারির দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।

নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, গত 6 জুলাই তাঁর 10 বছরের মেয়ে এলাকার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধূলো করছিল। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তাঁর জা বাড়ির ভেতরে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। হঠাৎ গরম করা চামচ দিয়ে তাঁর মেয়ের শরীরের একাধিক এলাকায় ছ্যাঁকা দিতে থাকেন। মেয়ের চিৎকার শুনে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এরপর মেয়েকে মালদা মেডিক্যাল নিয়ে যান তাঁরা। দোষীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশে অভিযোগও জানানো হয়েছে ৷

প্রতিবেশী মাম্পি দাস বলেন, "শুনতে পেয়েছি, খেলতে খেলতে অভিযুক্ত মহিলার সন্তানের গায়ে ধূপকাঠির ছ্যাঁকা লেগেছিল। তার ‘প্রতিশোধ’ নিতে ওই মহিলা নিজের জায়ের মেয়েকে হাতা বা খুন্তির মতো কিছু একটা দিয়ে গরম ছ্যাঁকা দেয়। নির্যাতিতার মা সেই সময় না থাকলে ওই শিশুর কী হত তা ভাবতে পারছি না। মাঝেমধ্যেই আমাদের কাছে আসে। আমরা ওই মহিলার শাস্তি চাই।"

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা পিউ অধিকারী বলেন, "রাস্তায় খেলতে খেলতে যদি কোনও শিশু একে অপরকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়, তবে কি ওই বাচ্চার মা অপর বাচ্চাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেবে নাকি পুঁতে দেবে? এধরণের ঘটনা চলতে পারে না। তার উপর নিজের জায়ের মেয়ের সঙ্গে এধরণের ঘটনা যিনি ঘটাতে পারেন তাঁদের আমরা এলাকায় থাকতে দেব না। পুলিশ এসে কেন ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল না? আমরা ওই মহিলার শাস্তি চাই।"

Last Updated : Jul 9, 2024, 7:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.