কলকাতা, 27 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দিনের ভিডিয়ো সোমবার ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে 'ক্রাইম স্পট' ওই সেমিনার হলে 9 তারিখ বহু মানুষের ভিড়। যদিও পুলিশের সাফাই, তারা ততক্ষণে আসল জায়গা 40 ফুট ঘিরে দিয়েছিলেন। সেখানে কেউ যেতে পারেনি। কিন্তু এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তনীরা।
তাঁদের কথায়, পুলিশ ওইদিনকেই কীভাবে বুঝল ওই 40 ফুটের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটেছিল? বাকি 10 ফুটে ঘটেনি ? ওই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শান্তনু দে আইনজীবী, দেবাশিস সোম ফরেনসিক বিভাগের ডেমোস্ট্রেটর, প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও সন্দীপ ঘোষের পিএ। কেন ওইদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন তাঁরা সেই প্রশ্নই তুললেন প্রাক্তনীরা। চিকিৎসক তাপস প্রামাণিক জানান, শান্তনু দে, আইনজীবী। তিনি কেন ক্রাইম সিনে আসবেন?
অন্যদিকে, দেবাশিষ সোম ময়না তদন্তের দায়িত্বে। ফরেনসিক বিভাগের লোক হয়েও কীভাবে সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন? উনি ছাড়াও ওইদিন উপস্থিত ছিলেন বিবেক ভক্ত। দু'জন মিলে কী করছিলেন? অন্যদিকে, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টিং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সেদিন তিনি ঘটনাস্থলে কী করছিলেন?" এই প্রত্যেকটা প্রশ্নর উত্তর চাইতে সিবিআইকে চিঠি পাঠাবেন আরজি করের প্রাক্তনীরা। শুধু তাঁরা নন এর পাশাপাশি তাঁদের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে দু'জন পিজিটিকে নিয়ে।
তাঁদের কথায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল হাসপাতালে তরফে সেখানে দু'জন পিজিটি ছিল। কেন চিকিৎসক, হাউস্টাফরা থাকা সত্ত্বেও পিজিটিদের তদন্ত কমিটির মধ্যে রাখা হল? পিজিটিদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর হয় না। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন ওই দুই ছাত্র তদন্ত কমিটিতে অংশ পেয়েছে? এই প্রশ্নগুলো তুলে তাদের আশঙ্কা ওইদিন প্রমাণ এবং তথ্য লোপাটের কোনওরকম কাজ হতে পারে। তাই এই পুরো বিষয়টাই তারা সিবিআইয়ের তদন্তের মধ্যে আনতে চান।