কলকাতা, 30 অগস্ট: ভাইরাল হওয়া অডিয়ো-কাণ্ডের পর, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুচরিতা মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই । তাঁর কথায় প্রচুর অসংগতি পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার ভাইরাল হয় তিনটি অডিয়ো ৷ যার সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ সেই অডিয়োগুলিতে আরজি করের চিকিৎসক ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে এক মহিলার কথোপকথন শোনা গিয়েছে বলে চর্চা চলছে ৷ সেই মহিলা নিজেকে আরজি করের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলে দাবি করেন ৷ যিনি 9 অগস্ট নির্যাতিতার পরিবারকে ফোন করে ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে বলে খবর দেন ৷ এই অডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য হাসপাতালের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুচরিতা মজুমদারকে ডেকে পাঠান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷
সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে চেয়েছেন যে, কেন মৃতার পরিবারকে প্রথমে ওই ছাত্রীর অসুস্থতার কথা বলা হল । পাশাপাশি কেন পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়েছিল ? সিবিআই সূত্রের খবর, ঘটনার দিন আরজি কর থেকে ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর সেখানে অনেক ছাত্রছাত্রী এবং আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন । সিবিআই জানতে পেরেছে যে, হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান ছাত্রীর বাড়িতে ফোন করে খবর দিতে বলেছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে । তাই তিনি ফোন করেন ।
তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুচরিতা মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের বলেন, যেহেতু ওই তরুণীর পরিবারে বয়স্ক লোকেরা আছেন, তাই তাঁরা যাতে আচমকা বিচলিত হয়ে না-পড়েন, উদ্বিগ্ন হয়ে না-পড়েন, সেজন্যই তাঁকে অসুস্থতার কথা বলতে বলা হয় বলে দাবি করেছেন সুচরিতা ।
সিবিআইয়ের কাছে তাঁর আরও দাবি, অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি দু’বার ফোন করে অসুস্থতার কথা বলেন । কিন্তু অনেকটা সময় কেটে গেলেও পরিবার না-পৌঁছনোয় মৃত্যুর খবর দিতে আবারও তিনি পরিবারকে ফোন করেন । সিবিআই সূত্রের খবর, সুচরিতা মজুমদারের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই । তবে তাঁর বক্তব্যে অসংগতি লক্ষ্য করায় তাঁকে নজরে রাখছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ৷