ETV Bharat / state

ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ছিল ভালোবাসার সম্পর্ক, সিএবি নির্বাচনেও পরোক্ষ ভূমিকা নিয়েছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী বুদ্ধদেব - BUDDHADEB BHATTACHARJEE PASSES AWAY

Buddhadeb Bhattacharjee's Sport Connections: মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে সরাসরি কখনও নিজেকে ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে দেখাননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ তবে, তাঁর ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও দলের সঙ্গে সম্পর্কটা বিশেষ ছিল ৷ এমনকি রাজ্যের ক্রিকেটীয় বিষয়েও খোঁজখবর রাখতেন তিনি ৷

Buddhadeb Bhattacharjee's Sport Connections
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : Aug 8, 2024, 2:57 PM IST

Updated : Aug 8, 2024, 5:27 PM IST

কলকাতা, 8 অগস্ট: ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন না পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ খেলাধূলা ভালোবাসতেন না, এটা বলা যাবে না ৷ কারণ, তিনি ক্রিকেটের খবর যথেষ্ট রাখতেন ৷ অনুদান ঘোষণা করে শিরোনামে আসেননি ৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্স এবং তদানীন্তন ভারতীয় দলের ওঠা পড়ার খবরে নিয়মিত নজরও রাখতেন ৷ কলকাতা ময়দান তাঁর খেলাধূলার প্রতি ভালোবাসার আঁচ পরোক্ষে হলেও পেয়েছে ৷ তবে তা কখনও উচ্চকিত নয় ৷

আজ সকালে 80 বছর বয়সে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ তাঁর প্রয়াণের দিনে স্মৃতিকাতর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ৷ প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, “তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যখনই তাঁর সাহায্য চেয়েছি তখনই পেয়েছি ৷” ইস্টবেঙ্গলের প্রতি বামফ্রন্টের সেই আমলের নেতা মন্ত্রীদের ভালোবাসা সর্বজনবিদিত ৷ ক্ষিতি গোস্বামী, অসীম দাশগুপ্ত, প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তী, মানস মুখোপাধ্যায়, সকলেই ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক ৷ ক্লাবের গ্যালারি সংস্কার করার জন্য তাঁরা যে সাহায্য করবেন, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই ৷ সেই তালিকায় ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও ৷

দেবব্রত সরকার বলেছেন, "আমাদের কখনও ফেরাননি বুদ্ধবাবু ৷ খুব যে দেখা হত তেমনটা নয় ৷ আসলে তাঁর কাছে আমাদের যেতেই হত না ৷ যখন যা দরকার সুভাষ দা (সুভাষ চক্রবর্তী)-কে বললেই কাজ হয়ে যেত ৷ গ্যালারি গড়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ৷" পাশাপাশি 2003 সালে যখন ইস্টবেঙ্গল আশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়, সেই সময়ও অনেক সাহায্য করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷

দেবব্রত সরকার বলেন, "আমাদের যে কোনও দরকারে আমরা সাহায্য পেয়েছি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ৷ আসলে গোটা বিশ্বেই খেলাধূলার সঙ্গে সরকারের ভালো সম্পর্ক থাকা জরুরি ৷ না-হলে খেলাধূলার উন্নতি কোথাও সম্ভব নয় ৷ আর সেটাই হয়েছে সেই সময়েও ৷ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় ভাল ছিল তাঁর ৷ শুধু তাই নয়, আশিয়ান জয়ের পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ৷ সেই সম্পর্ক অটুট থেকেছে শেষ পর্যন্ত ৷"

2005 সালে সিএবির নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল প্রার্থী প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের প্রতি ৷ সেইসময় কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন প্রসূন মুখোপাধ্যায় ৷ অন্যদিকে, জগমোহন ডালমিয়াকে সমর্থন করেছিলেন তদানীন্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী ৷ শোনা যায়, ক্রীড়ামন্ত্রীর এই সমর্থনের পিছনে ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সমর্থন ৷ পাঁচ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন প্রসূন মুখোপাধ্যায় ৷ রাইটার্সে সিএবি নির্বাচনের ফল নিয়ে বুদ্ধবাবুর প্রতিক্রিয়া ছিল, "অশুভ শক্তির জয় হল ৷"

ভারতীয় দলের খেলা ইডেনে থাকলে আসতেন ৷ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছেন ৷ সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে নানান ব্যস্ততার মধ্যেও ময়দানের খেলাধূলা, কর্মকাণ্ডের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও প্রশয় ছিল যথেষ্ট ৷

কলকাতা, 8 অগস্ট: ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন না পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ খেলাধূলা ভালোবাসতেন না, এটা বলা যাবে না ৷ কারণ, তিনি ক্রিকেটের খবর যথেষ্ট রাখতেন ৷ অনুদান ঘোষণা করে শিরোনামে আসেননি ৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্স এবং তদানীন্তন ভারতীয় দলের ওঠা পড়ার খবরে নিয়মিত নজরও রাখতেন ৷ কলকাতা ময়দান তাঁর খেলাধূলার প্রতি ভালোবাসার আঁচ পরোক্ষে হলেও পেয়েছে ৷ তবে তা কখনও উচ্চকিত নয় ৷

আজ সকালে 80 বছর বয়সে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ তাঁর প্রয়াণের দিনে স্মৃতিকাতর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ৷ প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, “তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যখনই তাঁর সাহায্য চেয়েছি তখনই পেয়েছি ৷” ইস্টবেঙ্গলের প্রতি বামফ্রন্টের সেই আমলের নেতা মন্ত্রীদের ভালোবাসা সর্বজনবিদিত ৷ ক্ষিতি গোস্বামী, অসীম দাশগুপ্ত, প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তী, মানস মুখোপাধ্যায়, সকলেই ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক ৷ ক্লাবের গ্যালারি সংস্কার করার জন্য তাঁরা যে সাহায্য করবেন, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই ৷ সেই তালিকায় ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও ৷

দেবব্রত সরকার বলেছেন, "আমাদের কখনও ফেরাননি বুদ্ধবাবু ৷ খুব যে দেখা হত তেমনটা নয় ৷ আসলে তাঁর কাছে আমাদের যেতেই হত না ৷ যখন যা দরকার সুভাষ দা (সুভাষ চক্রবর্তী)-কে বললেই কাজ হয়ে যেত ৷ গ্যালারি গড়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ৷" পাশাপাশি 2003 সালে যখন ইস্টবেঙ্গল আশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়, সেই সময়ও অনেক সাহায্য করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷

দেবব্রত সরকার বলেন, "আমাদের যে কোনও দরকারে আমরা সাহায্য পেয়েছি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ৷ আসলে গোটা বিশ্বেই খেলাধূলার সঙ্গে সরকারের ভালো সম্পর্ক থাকা জরুরি ৷ না-হলে খেলাধূলার উন্নতি কোথাও সম্ভব নয় ৷ আর সেটাই হয়েছে সেই সময়েও ৷ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় ভাল ছিল তাঁর ৷ শুধু তাই নয়, আশিয়ান জয়ের পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ৷ সেই সম্পর্ক অটুট থেকেছে শেষ পর্যন্ত ৷"

2005 সালে সিএবির নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল প্রার্থী প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের প্রতি ৷ সেইসময় কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন প্রসূন মুখোপাধ্যায় ৷ অন্যদিকে, জগমোহন ডালমিয়াকে সমর্থন করেছিলেন তদানীন্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী ৷ শোনা যায়, ক্রীড়ামন্ত্রীর এই সমর্থনের পিছনে ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সমর্থন ৷ পাঁচ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন প্রসূন মুখোপাধ্যায় ৷ রাইটার্সে সিএবি নির্বাচনের ফল নিয়ে বুদ্ধবাবুর প্রতিক্রিয়া ছিল, "অশুভ শক্তির জয় হল ৷"

ভারতীয় দলের খেলা ইডেনে থাকলে আসতেন ৷ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছেন ৷ সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে নানান ব্যস্ততার মধ্যেও ময়দানের খেলাধূলা, কর্মকাণ্ডের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও প্রশয় ছিল যথেষ্ট ৷

Last Updated : Aug 8, 2024, 5:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.